সেবা ডেস্ক: প্রতিরক্ষা
খাতে স’রঞ্জাম ক্রয়ে’র জন্য ভা’রত বাংলাদেশকে
৫০ কোটি মার্কিন ডলা’র
সমপরিমাণ ঋণ দেবে বলে
জানিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ভা’রতে’র প্রতি’রক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ সিং।
সোমবা’র (২২
নভেম্ব’র) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে
বাংলাদেশ হাইকমিশনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ
কথা জানান।
বাংলাদেশে’র
স্বাধীনতা’র প’র প্রথমবা’র ভা’রতে’র
কোনো প্রতি’রক্ষামন্ত্রী দেশে’র সশস্ত্র বাহিনী’র প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে কোনো দেশে’র মিশনে
উপস্থিত হলেন।
এ সময় তিনি
৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে প্রতি’রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশ সৃষ্টি’র
লক্ষ্যে দুই বাহিনী’র যৌথ
প্রচেষ্টা সম্পর্কে কথা তুলে ধরেন।
এছাড়া একাত্তরে যুদ্ধে নিহতদে’র প্রতি শ্রদ্ধা জানানোসহ দুই দেশে’র মধ্যে
ঘনিষ্ঠ প্রতি’রক্ষা সহযোগিতা’র কথাও আলোচনা করেন।
প্রতি’রক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ সিং তা’র বক্তব্যে
বলেন, ভা’রতে’র সশস্ত্র বাহিনী এবং ভা’রত স’রকারে’র
পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশে’র
সশস্ত্র বাহিনীকে ৫০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন
জানাই এবং শান্তি ও
নিরাপত্তায় তাদে’র প্রচেষ্টা’র মঙ্গল কামনা করি।
এ বছ’রটি
ভা’রত-বাংলাদেশ সম্পর্কে’র জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কা’রণ আমরা বাংলাদেশে’র স্বাধীনতা’র
সুবর্ণজয়ন্তী, ভা’রত-বাংলাদেশে’র ৫০ বছরে’র কূটনৈতিক
সম্পর্ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবু’র ‘রহমানে’র জন্মশতবর্ষ উদযাপন ক’রছি।
তিনি
বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে
আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে
মুক্তিবাহিনী’র বী’রত্বপূর্ণ সংগ্রামকে শ্রদ্ধা জানাই। মুক্তিযুদ্ধে’র চেতনা আজকে’র বাংলাদেশে’র সশস্ত্র বাহিনী’র মূল অনুপ্রে’রণা। ভা’রতীয়
সশস্ত্র বাহিনী’র সাহসী সৈনিকরা যারা বাংলাদেশে’র মুক্তিযুদ্ধে’র
সময় তাদে’র বাংলাদেশি ভাই ও বোনদে’র
পাশে ছিল- তাদে’র প্রতিও
শ্রদ্ধা জানাই।
প্রতি’রক্ষামন্ত্রী
বলেন, এ দিনে আমি
আ’রও স্ম’রণ করি ভা’রতে’র অসাধা’রণ
নেতৃত্বকেও। যারা ১৯৭১ সালে
সমস্ত প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতা’র ঠেলে
উঠে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী’র দ্বারা সংঘটিত অন্যায় এবং অবর্ণনীয় নৃশংসতা’র
বিরুদ্ধে লড়াই’রত একটি সংগ্রামী জাতিতে
সমর্থন জুগিয়েছিল।
মন্ত্রী
বলেন, যখন আমাদে’র খুব
বেশি ছিল না তখনও
আমরা বাংলাদেশি লাখো শ’রণার্থীকে আশ্রয়
দিয়েছি। একটি সংগ্রাম’রত দেশ
আরেকটি দেশে’র দিকে হাত বাড়িয়ে
দিয়েছিল সে সময়।
রাজনাথ
সিং বলেন, আজকে’র গর্বিত ও পেশাদা’র বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনী ১৯৭১ সালে’র মুক্তিযুদ্ধে’র
জন্য তাদে’র মৌলিক মূল্যবোধে’র কাছে ঋণী। মুক্তিযুদ্ধে’র
পরীক্ষা ও ক্লেশই বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনী গঠন করেছিল। আজ
বাংলাদেশে’র সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তি’রক্ষা বাহিনীতে সর্বোচ্চ অবদানকারী। তাদে’র পেশাদারিত্ব এবং ন্যায়সঙ্গত প্রতিশ্রুতি’র
জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মানিত।
মন্ত্রী
তা’র বক্তব্যে’র শেষে বলেন, আমি
আনন্দিত যে উভয় দেশে’র
সশস্ত্র বাহিনী’র মধ্যে সহযোগিতা ক্রমাগত বাড়ছে। প্রতি’রক্ষা সংলাপ, কর্মীদে’র আলোচনা, যৌথ প্রশিক্ষণ, অনুশীলন
এবং উচ্চ পর্যায়ে’র মতবিনিময়-
ইত্যাদি কার্যক্রমে’র মাধ্যমে এটি বেড়েই চলেছে।
ভা’রত থেকে সেনা ও
বিমান বাহিনী প্রধানরা এ বছ’র বাংলাদেশ
সফ’র করেছেন।
শেয়ার করুন
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।