রৌমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক


শফিকুল ইসলাম: বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ১৩৫ জন গ্রাকের কাছ থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রত্যারক আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

 জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রৌমারী জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) শামিম খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত  করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পেলে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে আব্দুস সালাম প্রতারনা করে ৩/৪ মাসের মধ্যে পল্লি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে অফিসের খরচ বাবদ গ্রামের গরীব দুঃখিদের কাছ থেকে জন প্রতি ৮থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। 

এ নিয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও দালালদের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে একাধীকবার শালিসি বৈঠক বসলেও কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রৌমারী বাজারে একটি হোটেলে বসে প্রতারক সালাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ না দেওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থী ও টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। এখন পর্যন্ত ওই টাকা ফেরত দেয়নি। তবে গ্রামের অন্য একজন ব্যক্তির সহযোগিতায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে মিটার প্রতি টাকা জমা দিয়ে ১৩৫ টির মধ্যে ১১২ টি মিটার গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে এবং আরো ২৩ টি মিটার এখন পর্যন্ত পায়নি।

অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের অসাদু কর্মকর্তা কর্মচারির যোগসাজসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুতের খুটি, তার, বোর্ড ও মিটার দেওয়ার নামে পর্যায়ক্রমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্রটি। কোন কোন এলাকায় ৩ বছরেও মিলেনি বিদ্যুৎ সংযোগ। 

লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের প্রতারনার শিকার ১৩৫ জন গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বরত জেনারেল ম্যানেজারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত আব্দুস সালাম বলেন, আজ রাত মঙ্গলবার বাদী পক্ষের সাথে বসে সমঝোতা করা হবে। আপনারা সংবাদ প্রকাশ করিয়েন না। 

অভিযোগকারি আব্দুল মজিদ জানান, লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সালামসহ কয়েকজন দালাল পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কথা বলে বিদ্যুৎ অফিসের খরচ বাবদ প্রায় ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পরেও বিদ্যুৎ না পেয়ে গ্রামের অন্য লোকের সহযোগিতায় সামান্য খরচে ১১২ টি মিটার দিয়েছে এবং খরচ দিতে না পাড়ায় আরো ২৩ টি মিটার বাকি রয়েছে। 


এব্যাপারে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রৌমারী জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) শামিম খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

   



শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top