শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে নির্মিতব্য কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে পুরো প্রকল্প এলাকায় জুড়ে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে।
নিহতের লাশ বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ রাহাত (২৫), রনি (২২), শুভ (২৪), আহমদ রেজা মীর খান (১৮) চার জনই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ ১২ জন শ্রমিকের অবস্থা আশংকাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বেসরকারী হাসপাতালে খবর নিয়ে জানা যায় ২৫-৩০ জনের অধিক শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
স্থানীয় ও নিহত শ্রমিকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, 'কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকেরা পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে কর্মঘন্টা কমিয়ে আনা, প্রতি ঘন্টা বেতন ৫০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা করে বাড়ানো, থাকা ও খাওয়া-দাওয়ার সু-ব্যবস্থার দাবী জানালে তাদের দাবী না মানিয়ে উল্টো চাকরি থেকে ছাঁটাই করা ও বেতন কেটে রাখার হুমকী দেওয়াতে শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।'
আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ও নিহতের খবরে পুরো কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প জুড়ে হাজার হাজার লোকজন জড়ো হতে দেখা যায়। সংঘটিত ঘটনায় স্বজনেরা আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরোদ্ধে।
এঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি যে কোন মুহূর্তে আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে বলে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
বেলা ১ টার দিকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত ও নিহত শ্রমিকের স্বজনদের আর্তচিৎকারে পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। মুহুর্তে আহতের সংখ্যা বাড়ছে। এতে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পুরো মেডিকেল টিমকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।