মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যি ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উভয় দেশ তাদের ব্যবসা ও বাণিজ্যে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার পণ্যমূল্য ও গুণগত মান বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে অধিক পণ্য আমদানির আহ্বান জানান। তিনি মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ভারত, জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মত মালয়েশিয়াকেও বাংলাদেশে একটি বিশেষ ইকনোমিক জোন স্থাপনের অনুরোধ জানান।
দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে বাংলাদেশের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে হাইকমিশনার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে এফটিএ নেগোসিয়েশন শুরু করার অনুরোধ করেন। মালয়েশীয় মন্ত্রী নেগোসিয়েশন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) রাজিবুল আহসান এবং মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যান্য ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ আজহার মাজলিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।