সেবা ডেস্ক: যেকোনো নির্বাচন শুরু হলেই মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উপর। আসন্ন উপ-নির্বাচনেও একই চিত্র। জানা গেছে, এ নির্বাচনেও ঢাকার প্রতিটি আসনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। যদিও শীর্ষ নেতারা বলছেন, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে এ বিষয়টি নিয়ে নেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
দলীয় সূত্রমতে, বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণেই নির্বাচন এলে বেড়ে যায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কখনো কখনো তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। দলীয় কোন্দল, বিশৃঙ্খলা মূলত অযোগ্যদের প্রাধান্য দেয়া ও যে কোনো নির্বাচনকে ঘিরে শীর্ষ নেতাদের মনোনয়ন বাণিজ্যকেই দায়ী করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
ছোটখাটো দলীয় সংঘর্ষকে স্বাভাবিক ঘটনা মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির মতো এত বড় একটা দলের মধ্যে এসব ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা বড় কিছু নয়।
মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাহিদা পূরণ না হলেই মনোনয়ন বাণিজ্যের নামে অভিযোগ আসে দলের ভেতর থেকেই। এসব ভিত্তিহীন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীদের ভাষ্যমতে, দলের মধ্যে বিভেদ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে আর্থিক লেনদেন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বিএনপিকে।
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মন্তব্য করেন বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, যা রটে তার কিছুতো ঘটেই। কিছু না হলে এটা রটবে কেন? গণতন্ত্রের চর্চাটা না থাকার কারণে এটা হচ্ছে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখতে অনৈতিক পথ থেকে বের হয়ে আসতে হবে বিএনপিকে। অর্থের বিনিময়ে প্রার্থিতা দেয়ার সংস্কৃতি বিএনপির ভবিষ্যতের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।