![The inhuman life of the journalist family in Jamalpur জামালপুরে সাংবাদিক পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjUfpY30haeWN0sGKGzkxDdR8Z0WBowcrMHi6xSfCbURXBTlShoB_lkUxzkPuUM-KS6PGNJopqHFYLex2phsD612V0gAVKvIqQEGK4HmZfBf9byCTv68nhq9ZV6ri8-A_v2-XHkDlXlMZQ/s1600-rw/%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25A8.webp)
জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের এক সময়ের দাপুটে সাংবাদিক একেএম মোশাররফ হোসেন ও তাঁর মেয়ে অসুস্থতার কারণে ধুকে ধুকে ক্ষয় হতে চলেছেন। মোশাররফ হোসেন শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে টানা প্রায় চল্লিশ বছর দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক বাংলার জামালপুর সংবাদদাতা ছিলেন। বার্ধক্যে তিনি অর্ধাহারে-অনাহারে এবং অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তিনি হৃদরোগ, নিউরো, বøাডপ্রেসার ও শ^াসকষ্টজণিত রোগে কয়েক বছর যাবৎ শয্যাশায়ী।
একই সাথে সাংবাদিক মোশাররফের মেয়ে মিতু আক্তারও কিডনিজণিত রোগে ভোগছেন। সাংবাদিক ও তার মেয়ের সর্বশেষ চিকিৎসার জন্য প্রেসকিপশন নেয়া হয় ২০১৮ সালে। অর্থের অভাবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়নি। এমনকি ওষুধও কেনা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে অসুস্থ্য মিতু জানান-ঘরে খাবার কেনার টাকা নেই। ওষুধ কিনবো কিভাবে?
সাংবাদিকের একমাত্র ছেলে ফেরদৌস হোসেন লিটনও পিতার খবর রাখে না। সাংবাদিকের আরেক মেয়ে আফরোজা বেগম নিভা জামালপুর পৌরসভার মাস্টাররোলে চাকরির মাসিক ৫হাজার টাকা বেতনেই চলছে পুরো পরিবার। নিভা জানান-মিতু একটা এনজিওতে চাকরি করতেন। কিডনি রোগের কারণে চাকরি হারান। মিতুর জমানো অর্থ এবং পরণের গয়না বিক্রির সমুদয় টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যায় হয়েছে। এরপর একটু জমি ছিল তাও বিক্রি করা হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কয়দিন চলা যায়। মাস্টারোলের চাকরিটা স্থায়ীকরণ হলেও কিছুটা হতো। ছোট বোন মিতুর কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসার জন্য অন্তত: ৩/৪ লাখ টাকার প্রয়োজন। বাবার চিকিৎসা এবং ঘরের খাবারের সংকটতো আছেই। এতো টাকা পাবো কোথায়? পিতা ও বোনের চিকিৎসার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছি।
সাংবাদিক মোশাররফ পরিবারের মানবেতর জীবন যাপনের খবরটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। খবরের সূত্রধরে জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু ১৫ হাজার টাকা প্রথম সহায়তা প্রদান করেন। এরপর জামালপুর সমিতি ইউকে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বর্তমানে সাংবাদিক মোশাররফ ও তাঁর মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দানশীলদের নিকট সহায়তা কামনা করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।