সংক্রামক ব্যাধি রোধে ভ্যাকসিনও গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

S M Ashraful Azom
0
সংক্রামক ব্যাধি রোধে ভ্যাকসিনও গুরুত্বপূর্ণ  প্রধানমন্ত্রী

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের মতো মহামারি থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য দ্রুত টিকা আবিস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাই অন্যতম গুরুত্বপূূর্ণ উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

৪ মে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, কভিড-১৯ মহামারি প্রমাণ করেছে যে, বৈশ্বিক মহামারির সামনে আমরা সত্যিই কতটা অসহায়। এটা প্রাচীন এই প্রবাদও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, চিকিৎসার চেয়ে প্রতিকারই ভালো। খবর বাসস ও ইউএনবির।

জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি চার মাসে মানবজাতির মধ্যে একটি নতুন সংক্রামক রোগের সৃষ্টি হয়। গ্লোবাল ভাইরম প্রজেক্টের হিসেবে বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ ভাইরাস রয়েছে, যা মহামারি ঘটানোর ক্ষমতা রাখে। এগুলোর অনেকের আবার পুরো মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করার ক্ষমতা রয়েছে। কাজেই মানবজাতির  টিকে থাকার জন্য নতুন টিকা। এ ধরনের রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী টিকাদানের জন্য বৈশ্বিক জোট 'গাভির' সহায়তাও কামনা করে বলেন, এই মহামারির বিরুদ্ধে গাভি জোট সবচেয়ে ভালো সহায়তা করতে পারে।

গাভি প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাজ্য সরকার গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটের আয়োজন করেছে। এতে সরকার, ফাউন্ডেশন, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতারা অংশ নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০০ সালে গাভি প্রতিষ্ঠার পর ভয়ংকর রোগের বিরুদ্ধে ৭৬ কোটি মানুষকে টিকাদানে সহায়তা করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাপী সংস্থাটি আরও এক কোটি ৩০ লাখ লোকের প্রাণ বাঁচিয়েছে। সারাবিশ্ব এ সংস্থাটির সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। সম্মেলনে অংশ নিতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কভিড-১৯ রোগের টিকার জন্য বিশ্ব মরিয়া। কাজেই টিকার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য গাভি বাংলাদেশে পরীক্ষিত অংশীদার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমডিজির চার নাম্বার টার্গেট ২০১০ সালের মধ্যে ৫ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে। এ কাজে গাভি ছিল সহায়ক। তিনি বলেন, প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তিনি সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষটি পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরসলভাবে কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এতে বিপুল আর্থিক ও পরিবেশগত ক্ষতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনার বিস্তার ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বরিস জনসন। এতে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহল-ওয়ার্ক জেওদে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব ডা. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস প্রমুখ।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top