ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাতির ভয়াবহ মৃত্যুতে তোলপাড় নেট দুনিয়া

S M Ashraful Azom
0
ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাতির ভয়াবহ মৃত্যুতে তোলপাড় নেট দুনিয়া

সেবা ডেস্ক: পশু-পাখি আমাদের সমাজেরই অংশ। আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পশু-পাখির ভূমিকা অপরিসীম। অনেকের পশু-পাখীকে এতো ভালবাসে যে, তারা বন জঙ্গলে অবস্থান নেয়। পশু-পাখিদের উপর নির্যাতন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে সম্প্রতি পশু নির্যাতনের অন্যতম নৃশংস দিক সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গর্ভবতী হাতির ভয়াবহ মৃত্যুর বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই দেশ জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ভারতের কেরেলায় পানিতে দাঁড়িয়েই এক হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আতসবাজি ভরা একটি আনারস খেতে দেয় ওই হাতিটিকে। আনারসটি খাওয়ার পরেই বাজিগুলো মুখের মধ্যে ফেটে যায় হাতিটির।

যখন সে আনারসটি খেয়েছিল তখনই বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই মুহূর্তে সে নিজের সম্পর্কে না ভেবে ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে সে যে সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে তার সম্পর্কে ভেবে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে বনদফতর। কেরলের সাইলেন্ট ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে থেকে ১৫ বছরের একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতি মালাপ্পুরাম গ্রামের কাছে চলে আসে খাবারের সন্ধানে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই সঙ্গে মর্মান্তিক এই ঘটনায় ও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাতিটির মাতৃত্ব চোখে জল এনেছে সবার।

হাতিটির মুখের মধ্যে আতসবাজির বিস্ফোরণটি এত শক্তিশালী ছিল যে, তার জিভ এবং মুখ গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিল। বেদনা ও ক্ষুধায় হাতিটি গ্রামে ঘুরে বেরাচ্ছিল। চোটের কারণে সে কিছু খেতে পারছিল না। হাতির ছবি সহ মালায়ালামে একটি সংবেদনশীল নোট কৃষ্ণন লিখেছেন, “গ্রামের রাস্তায় বেদনা নিয়ে দৌড়ালেও সে কোনো ব্যক্তির ক্ষতি করেনি। সে একটি বাড়িও নষ্ট করেনি। এ কারণেই আমি বলেছি, সে তার ভালো রূপটাই দেখিয়ে গিয়েছে।”

ফরেস্ট অফিসার মোহন কৃষ্ণান সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে বিবৃতি দেয়ার সময় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সব সাংবাদিক। তিনি বলেছিলেন “ডাক্তার যখন হাতিটির ময়নাতদন্ত করে তখন জানা যায় হাতিটি ছয় মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। কাঁপা গলায় আরো জানান যে, হাতিটির মধ্যে একটি সিক্সথ সেন্স কাজ করেছিল। সে জানতো তার মৃত্যু আসন্ন। শুঁড় সহ যন্ত্রণায় জ্বলছিল তার সমগ্র শরীর। এই অবস্থায় তার সন্তানের কথা ভেবে সে চলে যায় নদীর মঝে পানির মধ্যে, যাতে সেই রক্তাক্ত জায়গায় পোকামাকড় না বসে। যতক্ষণ বেঁচেছিল সে চেষ্টা করেছিল যাতে তার সন্তানের কষ্ট একটু হলেও কম হয়। শেষ পর্যন্ত নদীর মাঝেই প্রাণ ত্যাগ করে।”

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top