আবদুল জলিল, (কাজিপুর) সিরাজগঞ্জ: দীর্ঘদিন সংস্কারহীন বানিয়াজান (গাড়াবেড়-চালিতাডাঙ্গা) খাল। খালটি পাঁচটি ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিরাজগঞ্জ সদরে প্রবেশ করেছে। বছরের পর বছর বর্ষা ও বন্যায় খালটির তলদেশে পলি জমে প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি বহন ক্ষমতা হারিয়ে এক সময়ের মানুষের উপকারে আসা খালটি এখন কৃষকের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের গাড়াবেড় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এই খালের পানিতে প্রায় দেড়শ বিঘা জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়াবেড়. গোদারবাগ, চকপাড়া গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল গাড়াবেড় -চালিতাডাঙ্গা খাল। শত বছরের পুরনো এই খালটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে বন্যা ও বর্ষায় সেখানে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ডুবছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বোরো ধানক্ষেত। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে এই খালের অন্তর্ভুক্ত প্রায় দেড়শ বিঘা জমির পাকা ধান নিমজ্জিত হয়েছে। পাকা ফসল নিমজ্জিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে সেখানকার কৃষকেরা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খালটি ভরাটের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকের পাকা ধান কোথাও আংশিক কোথাওবা পুরোটাই পানিতে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ধান কোমর পানিতে নেমে অনেক কষ্টে কাটার চেষ্টা করছেন কৃষকেরা।
এসময় স্থানীয় কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, "আমরা বহুবার জন প্রতিনিধিদের নিকট এ খাল সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলেছি কিন্তু কেউ এ বিষয়ে নজর দেননি। এই খালটি দ্রুত খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসন করবে বলে আমরা কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"
আরেক কৃষক কৃষক লাল মিয়া বলেন, "পানিতে নেমে কষ্ট করে ধান কাটছি। এসময় চড়া মূল্যেও শ্রমিক মেলে না। দ্রুত আমাদের এই খালটি খনন করলে কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এব্যাপারে চালিতাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল বলেন, " অতি শীগ্রই এই খাল খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প প্রণয়ণ করা হয়েছে।’
কাজিপুর উপজেলা প্রকৗশলী রোকনুজ্জান খান বলেন‘ “ওই খালের সার্ভে হচ্ছে। শেষ হলেই কাজ শুরু হবে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।