শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতি তান্ডব চালিয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবার।
সপ্তাহ ব্যাপি বন্যহাতির তান্ডবে বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষক সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। দিন-রাতে বন্যহাতির দল ১০৬৬ মেইন পিলার হতে ৭২ সীমান্ত পিলার অতিক্রম করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকা ধান ও পাটসহ নানা ধরনের আবাদী ফসল খেয়ে ধ্বংস করছে। শ্যালোমেশিন গুলো হাতির সুঁড় প্যাচিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে। হাতির তান্ডবে প্রায় ১’শ একর জমির ফসল সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো হচ্ছে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের মিয়া পাড়া, আলগারচর, খেওয়ারচর ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের চুলিয়ারচর, বারবান্দা, বড়াইবাড়ীসহ প্রায় ১০ কি:মি: সীমান্ত জুড়েই বন্যহাতি তান্ডব চালায়।
এ ব্যাপারে সীমান্তবাসি রবিউল ইসলাম, মজনু মিয়া, হায়দার আলী, আইয়ুব আলী, সামছুল আলম, ছমের উদ্দিন, সিকান্দার আলী ও ফুলচাঁন জানান, প্রতি বছর ফসলের মৌসুমে ভারতীয় বন্য হাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব হাতি তাড়াতে পটকা, ঢোল-ঢাক ও আগুনের ভুতি জ¦ালিয়েও তাড়ানোর সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা চরম হতাশায় রয়েছি।
এবিষয় বালিয়ামারী বিওপি কোম্পানী কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান, ভারতীয় বন্যহাতি প্রতিনিয়ত ভারতীয় কাটাতারের বেড়া পেড়িয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন জানান, প্রতি বছর ভারতীয় বন্যহাতির তান্ডবে আমার সীমান্ত এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, রৌমারী সীমান্তে বন্যহাতির তান্ডবে কৃষকের ২৫/৩০ হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধান খেয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে। এবিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান বলেন, প্রতিরাত হাতি এসে সীমান্ত এলাকায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমরা এবিষয় নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে করে কৃষক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।