রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাড়ির পিছনের পাকা রাস্তা থেকে অপহরণের পর এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার একদিন পর ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে তার বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বগুড়ার শহরের কলোনি চকফরিদ এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে হাবিবুল্লাহ সাব্বির (১৮) ও আরিফুল ইসলাম রাজুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরের দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের বড়বিলা গ্রামের এক তরুণী বগুড়া শহরের আইডিয়াল মহিলা ছাত্রাবাসে থেকে আইআইটিবি পলিটেকনিকে লেখাপড়া করে। বখাটে হাবিবুল্লাহ সাব্বিরের সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ৬ মাস আগে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে ২৭ মে সন্ধ্যার দিকে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটিকে তার বাড়ির পিছনের পাকা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান সাব্বির। এরপর বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকার একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে সাব্বির মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরের দিন ২৮ মে সকালে মেয়েটি ধর্ষণের বিষয়টি সাব্বিরের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম রাজুকে জানায়। এ অবস্থায় ওই দিনই রাত ১০টার দিকে আরিফুল ইসলাম রাজু কৌশলে বড়বিলা গ্রামে মেয়েটিকে তার বাড়ির পিছনের রাস্তায় পৌছে দেন।
পরবর্তীতে বিয়ে না করায় মেয়েটি বাদী হয়ে ৩০ মে সাব্বির ও তার ভাই রাজুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে হাবিবুল্লাহ সাব্বির (১৮) ও তার ভাই আরিফুল ইসলাম রাজুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মেয়েটির অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতার প্রমান পাওয়ায় হাবিবুল্লাহ সাব্বির ও তাকে সহযোগীতা করায় আরিফুল ইসলাম রাজুকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে থানায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ডের পর ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।