বাজেটে করোনার জন্য বরাদ্দ ১৬ হাজার কোটি টাকা

S M Ashraful Azom
0
বাজেটে করোনার জন্য বরাদ্দ ১৬ হাজার কোটি টাকা

সেবা ডেস্ক: মহামারীর রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসের কাছে পুরো বিশ্বই এখন নাস্তানাবুদ। বাংলাদেশেও হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এ মহামারী থামাতে আগামী বাজেটে কিছু দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে বাজেট বক্তৃতায়।

বাজেটে খসড়া রূপরেখা অনুযায়ী করোনাভাইরাস মোকাবিলার বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা। একইভাবে বিজেএমসির জন্য বরাদ্দ থাকছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। কভিড-১৯ এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প খাত, এসএমই, ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পের সুদের ভর্তুকিবাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

অর্থবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে, ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিস্তার থামছে না। তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ভ্যাকসিন পেতে সময় লেগে যাবে। ফলে এক অদৃশ্য শক্তি করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ করছে সরকার। আগামী ১১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা পরবর্তী অর্থনীতির গতিপ্রকৃতিকে নির্দেশ করেই এবারের বাজেটের স্লোগান ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’। বাজেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মকর্তা জানান, বোঝাই যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হবে।

এ সময়ে অজানা অনেক ব্যয় বা খরচ চলে আসবে। অর্থের প্রয়োজন হবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী বাজেটে থোক বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের কারণে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, হাসপাতাল খাতে ব্যয় আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের আরও প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এসব দিক বিবেচনা করে থোক বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হচ্ছে। ‘করোনাভাইরাস কত দিন থাকবে তা কেউ বলতে পারছে না। তাই অর্থনীতির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিরায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরদ্দ রাখা হবে। তবে এই অর্থ তিন ভাগে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে এক ভাগ সরাসরি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় থোক বরাদ্দ হিসেবে রাখা হবে। বাকি দুই ভাগের এক ভাগ রাখা হচ্ছে এসএমই খাতে প্রণোদনার সুদ খরচ বাবদ।

আরেক ভাগ রাখা হচ্ছে বিজেএমসির শ্রমিকদের জন্য। সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ থাকছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাখা হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানার জন্য সরকার ঘোষিত প্যাকেজের সুদ খাতে খরচ বাবদ রাখা হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

আর ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বিজেএমসির শ্রমিকদের জন্য। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনার প্রভাবে পুরো অর্থনীতি থমকে গেছে। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা ইতিবাচক দিক। তবে এসব বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের প্রতি নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, সরকার এসএমই খাতের জন্য পৃথকভাবে বাজেট বরাদ্দ রাখছে এটা এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য অবশ্যই স্বস্তির খবর। এসএমই খাতে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top