শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী সংবাদদাতা: করোনার প্রাদূর্ভাব এড়াতে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেও চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়েন পরিবারের আয়ের একমাত্র ব্যক্তি তপু দাশ (৩৪) নামে এক যুবক । সংসারে আছেন স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে। কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসারে শুরু হয় অভাব অনটন। ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখে তুলে দিতে পারছেন না অন্তত দু'বেলা আহার। পরিবারের পাঁচ সদস্যের বোঝা চাপল তার মাথার ওপর। অবশেষে পরিবারের অভাব সামাল দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এই যুবক। সে উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শীল পাড়ার জগদীশ বাড়ীর মৃত বদন দাশের ছেলে।
জানা গেছে, তপু দাশ পেশায় একজন সিএনজি চালক। করোনায় লকডাউনে চলেনা তার গাড়ীর চাকা। সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায় সংসারের চাকা। পরিবারের অভাব-অনটনে দীর্ঘদিন থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিবারের সবার অলক্ষ্যে বাড়িতে গলায় রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে তপু দাশ। পরিবারের লোকজন তাকে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে জীবিত আছেন ভেবে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
কর্মহীনতায় পরিবারে অভাব দেখা দিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। ওই কলহের জেরে এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে যুবক তপু। তার পরিবারে আর উপযুক্ত কেউ রইলোনা সংসারের হাল ধরতে।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার মুঠোফোনে তপু দাশ নামের এক যুবকের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন। তিনি বলেছেন, পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে বলেই তদন্তে জানতে পেরেছি।