জাতীয় সংসদ |
জনসমাগম এড়াতে সংসদের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া জানান, সংসদে সমাগত এড়াতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি যাতে কম হয় তা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজন নেই এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে। এমপিদের অধিবেশন কক্ষে বসার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে। কোরাম (৬০ সদস্য) পূর্ণ হলেই অধিবেশন শুরু হবে।
সংসদের গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় সংসদের এই অধিবেশনে সাংবাদিকদের সশরীরে উপস্থিত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সবার জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এ অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে সব সাংবাদিকদের সরাসরি সংসদে না এসে সংসদ টেলিভিশন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন কভার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সংসদের সপ্তম অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার বসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এখন ঢাকায় আছেন এবং বয়সে তরুণ এমন এমপিদেরই শুধু সংসদে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে। সংসদে প্রবেশের সময় এমপিদের তাপমাত্রা মাপা হবে।