সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার্থে জাতীয় সংসদের অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে। একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশনের মেয়াদ ছিল মাত্র দেড় ঘণ্টা। এটি দেশের সংসদীয় ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন।
শনিবার বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। সন্ধ্যা ছয়টা ২৭ মিনিটে অধিবেশন সমাপ্ত হয়।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সংসদ অধিবেশন ডাকার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। পরে সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফসহ বিগত অধিবেশনের পর মারা যাওয়া সদস্যদের ওপর শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা ও সমাপনী ভাষণ দেন একসঙ্গে। সেখানে তিনি করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠের মাধ্যমে স্পিকার অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
সংসদে যোগ দেয়া সব সদস্যের মুখে মাস্ক, হাত গ্লাভস পরা ছিল। অধিবেশন কক্ষে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তারা বসেন।
এর আগে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় সংসদের এই অধিবেশনে সাংবাদিকদের সশরীরে উপস্থিত না হয়ে সংসদ টেলিভিশন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন কাভার করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ফলে সাংবাদিকরাও সংসদে যাননি।
এর আগে জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার অধিবেশনে বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা আাছে। তাই করোনভাইরাসের এই মহাদুর্যোগ চললেও সংসদের সপ্তম অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।