গাইবান্ধায় হাট বাজারে ক্রেতাদের ভীড় এরাতে জনসমাগমুক্ত নতুন বাজার

S M Ashraful Azom
গাইবান্ধায় হাট বাজারে ক্রেতাদের ভীড় এরাতে জনসমাগমুক্ত নতুন বাজার

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লক ডাউন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা জেলা বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে জনসমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা ও উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রাম ও  শহরের বাজার গুলো সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে উম্মুক্ত স্থানে নেওয়া হয়েছে করা হয়েছে নতুন বাজার । এসব নতুন বাজারে বজায় থাকবে সামাজিক নিরাপত্তা । এছাড়াও জেলার উপজেলা গুলোর হাট বাজার গুলো অন্যত্র হস্থন্তর করার খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলার  জনসমাগম বহুল হাট বাজার গুলো কে উম্মুক্ত স্থানে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য গুলো নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। জেলার হাট বাজার গুলোতে পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন করা হলেও দখদারদের কারণের হাটের প্রকৃত রুপ দখলদারদের দখলে রয়েছে। জনসমাগম মুক্ত বাজার ব্যবস্থায় এ কারণেই হিমশিম খেতে হয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কে । 

হাট বাজার গুলোতে গত কয়েক দিনে  আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থনের পরেও এতে মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কোনক্রমেই সম্ভব হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন জেলা শহরে দুটি বাজারের শুধুমাত্র মাছ এবং মুরগীর বেচাকেনার বাজার সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে স্থানান্তর করেছে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে মাছ এবং মুরগী বেচাকেনা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে সবজি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বাজারের সামগ্রী খাঁসি ও গরুর মাংসের বেচাকেনা যথারীতি পুরাতন বাজার এবং নতুন বাজারেই অব্যাহত থাকবে। প্রথমদিনেই হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মাছ এবং মুরগীর বাজার চালু করা হলে ভীড় না থাকায় উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে এ দুটি বাজার স্থানান্তারিত হওয়ায় তাদের পক্ষে ভীড় এড়িয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব হবে বলে উপস্থিত ক্রেতারা উল্লেখ করেন।

অপর দিকে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কালীবাড়ী বাজরের ব্যবসায়িদের নিয়ে পলাশবাড়ী সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে লাগানো হয়ে নতুন বাজার সকাল ৬ টা হতে ৫ টা পর্যন্ত চলবে এ বাজার । কালীবাড়ী হাট বাজারটি বহুল পরিচিত বড় একটি হাট যেখানে পাঠ হাটি ছিলো,পাইকারী কাচা বাজার ছিলো ,প্রতিদিনের দোকানী ছিলো বাজার ভরা । বাশহাটি ছিলো মন্দিরের সামনে এখানেই লাগতো কাচাবাজরের পাইকারী হাট,বীজহাটি,সহ আরো অনেক বাজার । মাছহাটির সাথেই ছিলো গরু ছাগলহাটি,কিন্তুর সাজানো গোছানো হাট বাজার একটার পরে একটা বাজার লাগবে সময় হলে যার যার মতো চলে যাবে । কিন্তু বর্তমান সময়টা দখলি সময় আমার দখলে তো আমি যা পারি তাই করবো। বাজারের বিশেষ করে হোটেল ও চায়ের দোকান গুলো বাজারের সুন্দর্য্য নষ্ট করছে। এছাড়াও বাজার সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমন দখলী আছে এ বাজারে । এদিন হতে হরিনাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক তামিড়া হাট বাজার,ফকিরহাট বাজার,আমলাগাছী,পুর্ব গোপিনাথপুর বাজার স্থানীয় স্কুল ও হাইস্কুল মাঠে নেওয়া হয়েছে।

জেলার হাট বাজার গুলোর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কাচা বাজরের ব্যবসায়ীরা লকডাউন সময়ে একেতো বাজার বেশী তার মধ্যে পাইকারী মালক্রয় করে বাজারে আনতেই হিমশিম খাই তার মধ্যে কখন দোকান এক স্থান হতে অন্য স্থানে নিয়ে যাই। তারা বলেন,অন্যত্র নয় বাজার গুলোর নকশা অনুযায়ী চলালে জনসমাগম দূর করা সম্ভব হবে।

সচেতন মহল বলেন যেহেতু বাজার গুলো বর্তমান সময়ে জনসমাগম মুক্ত সেহেতু বাজার গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন । ময়লা আর্বজনা ভরা ড্রেন গুলো পরিস্কার করা দরকার। দখলীমুক্ত ও স্বাস্থ্য সম্মত হাট বাজার বাস্তবায়ন সময়ের দাবী। এক্ষেত্রে জেলার হাট বাজার গুলোর পুরানো ঐতিহ্য গুলো ফিরিয়ে আনতে সকলের সাবির্ক সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তারা। হাট বাজার জায়গায় গুলোতে চায়ের দোকান,হোটেলসহ নানা রংয়ে ঢংয়ের দখলী দোকান বাজার হতে অপসারণ করা হোক তাহলে অনেকাংশে কমে আসবে।


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top