শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী সংবাদদাতা: বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা আতংক। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সরকার পুরোদেশকে লকডাউন করে দিয়েছে। জনসমাগম এড়াতে মসজিদ-মন্দিরেও দিয়েছে বিধি নিষেধ। দূরপাল্লার যাতায়তসহ স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ যেখানে বিচ্ছিন্ন সেখানে থেমে নেই বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে সাগর পাড়ি দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালী উপজেলার সমুদ্রোপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিনিয়ত যাতায়ত করছে ঢাকা-নারাণগঞ্জ-চট্টগ্রামের লোকজন। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকসমাগমে আতংকে আছে উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের সমুদ্রোপকূলীয় অঞ্চলের জনসাধারণ। ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা লবণ বোঝাই কারী একাধিক বোট শেখেরখীল ইউনিয়নের মৌলভীবাজার থেকে ফাঁড়ির মূখ পর্যন্ত এলাকায় ভীড় জমেছে। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকসমাগমে এলাকার লোকজন করোনার আতংকে আছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শেখেরখীল ইউপি চেয়াম্যান মু. ইয়াছিন গত শুক্রবার তাদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললেও তারা ছেড়ে যায়নি। এলাকার চৌকিদার এসে বোটের রশি গুলো খুলে দেয়। রাতে জোয়ারে বোটগুলে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু মহল সন্ধ্যায় পুনরায় বোটগুলো সাগড়পাড়ে ভীড় করে রাখে।
শেখেরখীল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মু. শাকের উল্লাহ্ জানান, ঢাকার নারায়ণগঞ্জে আগের মতো বাঁশখালী থেকে লবণ বোঝাই কাজটি অব্যাহত রেখেছে। বোটের চালক, হেলফার বেশিরভাগ টেকনাফ এলাকার। তারা করোনা আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আসা যাওয়া করায় স্থানীয় লোকজনদের মনে আতংকের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে তাদেরকে স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মু. ইয়াছিন জানান, আমার শেখেরখীল ইউনিয়ন বেশী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, কারণ এটি সমুদ্রোউপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। সাগর পথ দিয়ে এখনো দূরপাল্লার লবণ, মাছ বোঝাই করা বোটগুলো যাতায়ত করে। শেখেরখীলের মৌলভীবাজার, গুইল্যাখালী, বাহমনিখীল ও ব্রিজের গোড়া এলাকায় তাদের বোট ভীড় করে রাখার অভিযোগে আমি রাতেই ছেড়ে যেতে বলি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলা আছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন।
ভিডিও নিউজ
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন