রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন করোনা আক্রান্ত শেরপুরের শ্রীবরদী হাসপাতালের কর্মরত আয়া খোদেজা বেগমের নাতি পর ১০ বছর বয়সের শিশু তৌহিদ। শনিবার দুপুরে করোনা আক্রান্ত ওই শিশুর করোনা ভাইরাস নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় এবং সুস্থ্য হওয়ায় তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছেন।
খোদেজা বেগম পৌর শহরের সাতানি এলাকার বাসিন্দা শাজাহান মিয়ার স্ত্রী। ওই শিশুর সাথে আইসোলেশনে ছিলেন তার মা। মায়ের সাথেই বাড়ি ফিরে যায় ওই শিশু।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, প্রথম করোনা আক্রান্ত হয় শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া খোদেজা বেগম। গত ৫ এপ্রিল তাকে জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হন।
ওইদিনই আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এছাড়া তাকে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পর পর তিনবার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসায় সে সুস্থ্য বলে নিশ্চিত হন। পরে তাকে ১৬ এপ্রিল জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে এম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে খোদেজা বেগম করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ৯ এপ্রিল আক্রান্ত হয় তার ছেলের ঘরের নাতি ১০ বছর বয়সের শিশু তৌহিদ। পরে উপজেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। এখানে সাত দিন চিকিৎসার পর প্রথম তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসায় সে সুস্থ্য বলে নিশ্চিত হন।
পরবর্তীতে আবারো তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার আজ শনিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। সুস্থ্য হয়ে তৌহিদ তার মায়ের সাথে বাড়ি ফিরে যায়। এ সময় ওই শিশুর মা ছিলেন ছেলের সাথে আইসোলেশনে। তিনি বলেন, আমিতো মা। ছেলেকে ছেড়ে আমি ঘুমাতে পারবোনা। আমার ছেলেও আমাকে ছেড়ে ঘুমাতে পারবেনা।
এ জন্য ছেলের সাথে ছিলাম। প্রথম কয়েকদিন ছিলাম খুবই দু’চিন্তায়। যখন রিপোর্ট পেয়েছি তখন চিন্তা মুক্ত হই। ছেলে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।