গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গাইবান্ধা জেলা কে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লকডাউন ঘোষণা করলো জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন স্বাক্ষরিত আজ ১০ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জে এম শাখা স্মারক ০৫.৫৫.৩২০০.০৪৪.২১.০১৭.১৪-৩৪২ এক পত্রে গণবিজ্ঞপ্তিতে এখবর নিশ্চিত করা হয়। এ গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এতদ্বারা জেলার সর্বসাধারনের অবগতির জন্য যানানো যাচ্ছে যে,
প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ সংক্রমন ঝুঁকি মোকাবেলায় " করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি গাইবান্ধা এর সভায় সিদ্ধান্তও সিভিল সার্জন গাইবান্ধার সুপারিশক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনাক্রমে এবং সংক্রমন রোধ ( নিয়ন্ত্রন, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ ( ২০১৮ সনের ৬১ নং আইন ) এর ১১(১)(২)(৩) ধারা মোতাবেক গাইবান্ধা জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এ জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথে অন্য কোন জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে বা এ জেলা হতে অন্য কোন জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলায় অভ্যান্তরে আন্তঃ উপজেলায় যাতায়াতের এরুপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকিবে।
২। সকল ধরণের গণ পরিবহন, জনসমাগম পূর্বের ন্যায় বন্ধ থাকিবে। তবে জরুরী পরিসেবা যেমন চিকিৎসা,খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতা বর্হিভূত থাকিবে। ৩।জনসাধারণের সমাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে ইতিপূর্বে জারিকৃত সকল আদেশ বলবৎ থাকবে। ৪। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ ১০ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৫ টার পর হতে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন। হোম কোযারেন্টাইনে ছিলো প্রায় ৪ শতাধিক বাড়ী ফিরেছে ১০৮ জন । আইসোলিশনের রয়েছেন ৮ জন । জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জেলা কে লক ডাউন করায় জেলা জুড়ে পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক ভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছেন।