রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ দূর্যোগ। বাধ্য করা হয়েছে সামজিক দুরত্ব মানতে। ঘর থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা। জীবনকে সুরক্ষায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রচন্ড রোদে বৈশাখের ভ্যাপসা গরম। অতিষ্ট হয়ে পড়েছে বাসার চার দেয়ালে বাঁধা জীবন। এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সব মিলে ভালে নেই বগুড়ার ধুনট উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মনুষ।
জানা গেছে, উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। এমধ্যে কমপক্ষে এক লাখ আবাসিক গ্রাহক। করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, ব্যবসা-বানিজ্য সহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে মানুষ বাধ্য হয়েছেন ঘরে থাকতে। ঘরে বসে থেকে সহজে সময় কাটতে চায় না। তাই কেউ ইবাদত করে সময় পার করছেন। কেউ বা আবার বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যমে সময় কাটাচ্ছেন।
বাসা-বাড়িতে অধিকাংশ কাজ করতে প্রয়োজন বিদ্যুত। বিদ্যুৎ অনেকটাই মানুষের মৌলিক চাহিদার তালিকায় স্থান পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ উপজেলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ বার করে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। দিনের কিছু সময় বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও লো-ভোল্টজ থাকে। এতে কাজের কাজ কিছুই হয়না। বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে গ্রাহকের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
করোনার কারণে স্বেচ্ছায় বাসা বাড়িতে বন্দী বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ সঞ্চালন বিপর্যায়ে বাসা বাড়িতে টেলিভিশন দেখা যায় না। বিদ্যুতের অভাবে বিনোদনের মাধ্যম থেকে বঞ্চিত হন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে। গরমে নাগরিক জীবনে মারাত্মক অস্বস্তি চলছে। সকল বয়সী মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। তবে বেশী ভুগতে হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। বিশেষ করে নবজাতকদের। ফ্রিজে রক্ষিত খাবার সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। লো-ভোল্টেজের কারণে ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎ চালিত সরঞ্জামাদি। বাসার চার দেয়ালের মাঝে অন্ধকার ভুতড়ে পরিবেশ বিরাজ করে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধুনট আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাহবুব জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ৩৩ কেভি লাইনে কারিগরি ত্রæটি রয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুতের মেইল লাইনের উপর গাছের ডালপালা হেলে পড়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চলনের ক্ষেত্রে আপাতত কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন সাভাবিক করার জন্য এসব সমস্যা সমাধানের কাজ চলমান রয়েছে।