শামীম তালুকদার: বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয় ৮ মার্চ, এরপর এটি মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামর্থ অনুযায়ী জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রথম থেকে সন্মুখ যোদ্ধা হিসাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিঃস্বার্থ শর্তহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মানুষকে ঘরে রাখতে ও কমিউনিটি সংক্রমণ হতে নিরাপদ রাখতে নিজেদের ঝুঁকির কথা বিন্দু পরিমান না ভেবে যেভাবে মানুষকে নিরাপদ রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
রাষ্ট্রের একটি নিবেদিত, অনুগত, প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুলিশ বাহিনীসহ অন্যন্য বাহিনী এক অবিস্মরণীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ।
এর মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটছে মহামারী হতে রক্ষা দেশের মানুষকে সুরক্ষা করতে। মুক্তিযোদ্ধসহ দেশে বিদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যোগ্যতা, গুণগতমান যেখানে প্রশ্নাতীত।
সেই সেনাবাহিনী নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের সেবায় আরেক লড়াইয়ে কাধেকাধ মিলিয়ে।
সবি এই প্রজাতন্ত্রে স্বর্ণাক্ষরে লিখা রবে করোনা অনামিশা কেটে গেলে।
মূল কথায় আসি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে পুলিশ কিভাবে কাজ করছে তার একটি উদাহরণ, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জরুরী কাজে বের হওয়া ছোটবড় পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রাতদিন রাস্তায় দায়িত্বরত।
এমন সময় সেখানে একটি রিক্সা আসায় দুজন রিক্সা আরোহীকে নেমে ২০গজ দুরত্বে অবস্থিত চৌরাস্তায় যেতে হেটে যাওয়ার জন্য বলেন, সাথে দুজন পাশাপাশি না থাকার ও পাশাপাশি না থেকে একটু দুরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেন।
অবাক করা ব্যপার! তারা বলছেন এইতো ২০ গজ সামনেই নামবো আমাদের যেতে দেন, পুলিশ সদস্য আবারো করোনা সম্পর্কে বুঝাতে থাকেন। তারা আবারো বলছেন এইতো ২০ গজ সামনেই নামবো আমরা। এভাবে পরপর তিনবার বলার পর জাতির গর্বিত করোনা লড়াইরত, দৈনিক হাজারো মানুষকে ধৈয্যসহ বুঝানো সেই পুলিশ সদস্য বলতে বাধ্য হলেন আপনাকে এখানে আটকিয়ে আপনার ক্ষতি করছি নাকি? নাকি আমার কোন লাভ আছে কেন বুঝতেছেন না, আপনাদের সবার নিরাপত্তার জন্যই আমি বলছি। ততক্ষণে নাছোরবান্দা বাঙালিদ্বয় বুঝতে পেরে হেঁটে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রিক্সা থেকে নেমে রওনা হলেন।
দেশব্যপী আলোচিত এক বক্তার মৃত্যুতে লকডাউন ভেঙ্গে বিপুল মানুষের উপস্থিতি তদন্ত হচ্ছে দুজন বিরোধি মতের এমপির নামও প্রাথমিক তদন্তে আসছে, যারা মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে এরকম মানুষ এমপি হয় কিভাবে,রাজনীতি করে কোন যুক্তিতে মানুষের জীবন যাদের কাছে কোন মূল্য নেই।যারা অতীতেও আগুন সন্ত্রাসে এ দেশের মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।সেই নগ্ন,নিচতা ঝেড়ে ফেলে যদি সামনে আগানোর চিন্তা না থাকে তবে ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হবে না।
সেখানে পুলিশ প্রশানকেও ভুল বুঝানো হয়েছে,তারা আগেভাগে বুঝতে পারেননি, যার জন্য দুজন কর্মকর্তা দায়ীও হয়ে গেছেন। এটা অপ্রত্যাশিত,অনাকিাঙ্খত।শত প্রতিকূলতার মধে্যই চোখকান খোলা রেখে এভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিয়োজিত বাহিনীর কাজ করতে হচ্ছে, যাদের কোন রাত নেই,দিন নেই,রিস্ক নেই, জীবনের জন্য হুমকি নেই,আছে দেশপ্রেম,মানুষের প্রতি দরদ আর ভালোবাসা।দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত বাহিনীর অনেক সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, চিকিৎসায় রয়েছেন।
আমরা সবার সুস্থ্যতা কামনা করি।এই বীরদের মনোবল,সাহস যেন অটুট থাকে,কোন অপশক্তির ফঁাদে কুমন্ত্রণায় যেন একটি সদস্যও না পড়ে জাতির সকল সুনাগরিকদের এটিই প্রত্যাশা।।