রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): মহামারী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দেশবাসী। সরকার থেকে শুরু করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে এগিয়ে এসেছেন। অনেকেই কাজ করছেন মানবিক উদ্যোগ নিয়েও। তারই ধারাবাহিকতায় পিচঢালা পথে রং তুলির আঁচড়ে করোনা সচেতনতায় কাজ করছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক লাবনি।
পুরো নাম আসমা নূসরাত লাবনি। তিনি ধুনট সরকারি কলেজের সন্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের পিরহাটি গ্রামের বাসিন্দা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় গ্রামে ফিরে তিনি সড়কে রং তুলির আঁচড় কাটছেন। জন্মভূমির মানুষদের সচেতন করতে এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। যেখানে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সচেতনতার কথা লেখা আছে।
জানা গেছে, করোনা আতঙ্কের মধ্যে সচেতন উদ্যোগ। মানুষ তার লেখা বিস্ময় চোখে দেখছেন আর সচেতন হচ্ছেন। এমন উদ্যোগে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন বেশ। তার ইচ্ছে পুরো এলাকার মানুষকে সচেতনতায় উৎসাহিত করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি। বাড়িতে ফিরে দেখলেন মানুষের মাঝে নেই কোনো সচেতনতা। মানুষ দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা নিয়ে নেই কোনো মাথাব্যাথা। করোনা সংক্রমণের ঝুকিতে রয়েছে সবাই। নাড়া দেয় তার বিবেককে।
তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছেন। মানুষের মাঝে খাবার ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন। যেখানে মানুষ পেয়েছেন বুঝিয়েছেন করোনা থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধৌত করুন, মাস্ক ব্যবহার করুন, জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, কাঁশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন, বিনা প্রয়োজনে বাইরে যাবেন না, সামজিক নিরাপদ দুরত্ব মেনে চলুন, প্লিজ সতর্ক হোন।
কথা হয় ছাত্রলীগ নেত্রী আসমা নূসরাত লাবনির সাথে। এসময় এমন উদ্যোগের বিষয়ে বললেন বিস্তারিত। আমি সচেতন, আমার আশপাশ সচেতন না, তাহলে সচেতনতার গুরুত্ব কোথায়? আমি মনে করি মানুষকে সচেতন করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়বদ্ধতা থেকে এলাকার মানুষদের সচেতনতায় নেমেছি। মানুষ আমার লেখা পড়ে অবাক হন, তারপরও তারা লেখা পড়ছেন। হয়ত বাড়িতে গিয়ে ভাববে আর সচেতন হবে। আমি চাই, মানুষ সচেতন হোক, করোনাকে মোকাবেলা করুক।