টাঙ্গাইলের নরেশ পালের মুখে হাসি ফুটালো ছাত্রলীগ নেতা

S M Ashraful Azom
টাঙ্গাইলের নরেশ পালের মুখে হাসি ফুটালো ছাত্রলীগ নেতা

সেবা ডেস্ক: বৈশাখী মেলাকে সামনে রেখেই মাটির হাড়ি পাতিল, শিশুদের খেলনাসহ মাটির জিনিসপত্র বানিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের নরেশ পাল ও তার পরিবার। খেয়ে না খেয়ে দিনের পর দিন খেটে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বানিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বৈশাখের বিভিন্ন মেলার। কিন্তু করোনাউদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে সবকিছুই উলোট পালট করে দেয় নরেশ পালের পরিবারের।

ভয়ংকর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও চলছে লকডাউন, বৈশাখী মেলাসহ সকল ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাটির জিনিসপত্র বিক্রি না হওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে দিন কাটছে নরেশ পালের। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকুশিয়া গ্রামের অশীতিপর নরেশ পালের এমন খবর প্রকাশের পর ছুটে যান টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ নেতা রেদোয়ান মাসুদ। বৃষ্টির মধ্যে সকালে ছুটে যান পাল পাড়ার নরেশ পালের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের খাবার দিয়ে আসেন তরুণ ছাত্রলীগ নেতা রেদোয়ান মাসুদ।

ছাত্রলীগ নেতা রেদোয়ান মাুসদ বলেন, হাড্ডিসার কংকাল এমন মানুষটির ছবি বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় রাতেই চোখে পড়ে। নরেশ পালের খবরটি দেখে চোখে জল এসে যায়। সকালেই ছুটে যাই উনার বাড়িতে। বিকাল নাম্বার নিয়ে এসেছি, আরো এক মাসের খাবারের ব্যবস্থা করবো উনার জন্য এবং পাল পাড়ার অন্যদের জন্যও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নেব।

নরেশ পাল বলেন, বৈশাখী মেলা চালু থাকলে অন্যের খাবার নিতে হতো না, ভগবান হয়তো আমাদের দিকে ফিরে তাকিয়েছেন।

এদিকে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের মো. রাজন মিয়া সেই নরেশ পালের বাড়িতে ১০ কেজি চাল, ডাল, তেল লবণ, আলুসহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

রাজন বলেন, আমার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। যার যার এলাকার অসহায় মানুষের পাশে এখন দাঁড়ানো উচিত।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top