গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার নুনিয়াগাড়ী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে ট্রাক চালক উজ্জল মন্ডলের মিথ্যা, ভিত্তিহীন বিষয় বস্তুর উপর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ি মতিয়ার রহমানের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর এলাকার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ি মতিয়ার রহমান তার নিজ বসতবাড়ীতে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে মতিয়ার রহমান তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, একই গ্রামের বসবাসরত ট্রাকচালক উজ্জল মন্ডল তার বাসার প্রাচীর সংলগ্ন অহেতুকভাবে বসে থাকার জন্য ইট দিয়ে ও সীমানা প্রাচীর তুলে নিজ দখলে নিয়ে প্রতিবেশীদের চলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে। ফলে প্রতিবেশী মাছ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী ভ্যান নিয়ে বাড়ী যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। ভ্যান যাতায়াতের সময় ভ্যানের এক্সেল লেগে দুই/একটি ইট ভেঙ্গে যায়। এতে উজ্জল মন্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে আইয়ুব আলী গংদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দেন। যাহা উভয় পক্ষ মেনে নেয়। পরবর্তীতে উজ্জল মন্ডল শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে পলাশবাড়ী থানায় পুনরায় একটি অভিযোগ করে। ওই দুই পরিবারের অভ্যন্তরীন বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না বা নাই। এরপরেও উজ্জল মন্ডল আমার বিরুদ্ধে অন্যায় অত্যাচারের অভিযোগ উত্থাপন করে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। উজ্জল মন্ডল বা তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আমার কোন বিরোধ ছিল না। আইয়ুব আলী ও উজ্জল মন্ডল গংদের সৃষ্ট দ্বন্দে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন ভূমিকা ছিল না। প্রকৃত ঘটনা এই যে, উজ্জল মন্ডলের ছোট ভাই লিপনের কাছে আমার কিছু কর্জ টাকা পাওনা আছে। যাহা অনেক আগেই গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে লিখিত শর্তসাপেক্ষে উক্ত টাকা প্রদানের অঙ্গিকারনামা প্রদান পূর্বক সমাধা করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত টাকা চাওয়ায় উজ্জল গংরা আমাদের উপর শত্রæতা পোষণ করে, আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ও টাকা না দেওয়ার পায়তারা করে আসছে। অদ্যাবধি আমি পাওনা টাকা না পাইলেও উজ্জল মন্ডল বা তার পরিবারের সদস্যদের উপর কোন প্রকার অন্যায় অত্যাচার বা নির্যাতন করি নাই। তার পরেও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে উজ্জল মন্ডল কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী করেন মর্মে ওই সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে। তার ওই সংবাদ সম্মেলন করায় সামাজিক ভাবে আমি ও আমার পরিবারবর্গ চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যথিত হয়েছি। কাজেই ওই সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই আমি অদ্য পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অনলাইন, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাংবাদিকগণ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মতিয়ার রহমানের বাবা বাদশা মিয়া, দাদা আব্দুল মজিদ মন্ডল, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি আব্দুস সামাদ, তোতা মিয়া, আব্দুল শেখ, আশরাফ আলী, শাহীন গোলজার রহমান ও আব্দুল জলিল প্রমুখ।
