শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলাকে অনির্দিষ্টককালের জন্য অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বাঁশখালীতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের এক ডাক্তারের নিকট। গত বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই রোগী শনাক্ত হওয়ার পর উপজেলার ৪ টি বাড়ী ও ১টি বেসরকারী হাসপাতাল লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
আজ শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ও ঝুঁকি এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর অনুমতিক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরো বাঁশখালীকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোমেনা আক্তার।
উপজেলা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এর ফলে বাঁশখালী উপজেলার সঙ্গে জেলার সব উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে কেউ ওই উপজেলায় ঢুকতে ও উপজেলা থেকে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
সতর্কজারি করে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ লকডাউনে সকল ধরণের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে। এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। তবে, জরুরী পরিসেবার আওতায় বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ওকর্মী। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত, চিকিৎসার সরাঞ্জমাধি বহন, জরুরী ঔষধ পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী। জরুরী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, শিল্পপণ্য, শিশু খাদ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ও কর্মী চলাচল করতে পারবে।
লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমমেনা আক্তার বলেন, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা হতে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।