বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : সারাবিশ্বে যেন যুদ্ধাবস্থা চলছে করোনাভাইরাসের কারণে। সরকার ও প্রশাসনের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পথে এখন মানুষ। এমতাবস্থায় মানুষ মানবিক বিপর্যের দিকে যাচ্ছে।
আর তা সামাল দিতে সরকারের পাশাপাশি প্রশাসন স্বার্থহীনভাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে মানুষকে ভাল রাখা ও নিরাপদে রাখা নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
তেমনি একজন কর্মকর্তার আ.স.ম. জামশেদ খোন্দকার। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
২৯ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের এই কর্মকর্তা বকশীগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে কঠোরতা এবং কোমল হওয়া দুটোই রয়েছে তার ব্যক্তিত্বে। যার প্রমাণ দিয়েছেন গত কয়েক মাসে।
মানুষের মঙ্গলের জন্য তিনি যা যা পদক্ষেপ নিয়েছেন তার অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন এই কর্মকর্তা। সম্প্রতি সারা বিশ্বে মহামারী রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাত-দিন পরিশ্রম আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ঘাটে , হাট-বাজারে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে ময়দানে ঘুরছেন তিনি।
প্রতিদিন রাস্তা থেকে মানুষকে সড়িয়ে দেওয়ার আন্দোলনে নেমেছেন যাতে করে মানুষ হাট-বাজার, শহরে আড্ডা না দিয়ে নিরাপদে থাকার জন্য , সুস্থ থাকার জন্য ঘরে অবস্থান করেন।
এই যুদ্ধে তিনি একা নয় তার সাথে যোগ দিয়েছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা.¯িœগ্ধা দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.প্রতাপ নন্দী এবং বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
এই চারজনে পুরো বকশীগঞ্জের মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য করোনাভাইরাস সম্পর্কে নানা রকম সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে নিজ হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন চাল,ডাল, লবন, আলু,কাঁচা তরকারি ।
ইউএনও আ.স.ম. জামশেদ খোন্দকার তার গাড়িতে করে ত্রাণের মালামাল নিয়ে হাজির হচ্ছেন অভাবগ্রস্থদের বাড়িতে বাড়িতে।
প্রতিটি ইউনিয়নেই তিনি সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউএনও’র মানবিতায় মুগ্ধ হয়েছেন অভাবগ্রস্থ পরিবার গুলো ।
মানুষ তার পেছনে নয় , ইউএনও ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ দেওয়ার জন্য।