সেবা ডেস্ক: জামালপুরে নতুন করে ১৫ এপ্রিল ঢাকা ফেরত এক বায়িং হাউজকর্মীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ঠোটাপাড়া গ্রামে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তার বাড়িসহ আশপাশের দশটি বাড়ি লকডাউন করেছে।
এ নিয়ে দেওয়ানগঞ্জে তিনজনসহ জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন।
সূত্র জানায়, ১৫ এপ্রিল আসা প্রতিবেদনে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ঠোটাপাড়া গ্রামের করোনায় আক্রান্ত পুরুষ ব্যক্তি (৪০) রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি বাইং হাউজের শ্রমিক। তিনি কয়েকদিন ধরে জন্ডিসে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় তার দেহে করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে তিনি ১০ এপ্রিল দেওয়ানগঞ্জের বাড়িতে চলে আসেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম ১৩ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠিয়েছিলেন।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী পুলিশ ফোর্স নিয়ে রাতে পৌরসভার ঠোটাপাড়ায় গিয়ে করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের দশটি বাড়ি লকডাউন করেন। তারা ওই গ্রামে প্রবেশের কয়েকটি রাস্তার সংযোগস্থলে একটি লাল নিশান উড়িয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। একই সাথে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে জামালপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠিয়েছেন।
জামালপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান জানান, ময়মনসিংহের করোনা পিসিআর ল্যাব থেকে ১৫ এপ্রিল ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। এর মধ্যে দেওয়ানগঞ্জের ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ এসেছে। তার দেহে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দিকাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ জন্ডিসেও আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বাকি ৩২ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। দেওয়ানগঞ্জের ওই ব্যক্তিকে জামালপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ছয় নারীসহ ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো। ছয়জন নারীর মধ্যে দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে মৃত্যুর পরে নেয়া নমুনায়।