বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এলবাট মিয়ার বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে গতকাল সোমবার সেবা হট নিউজে “বকশীগঞ্জে মাষ্টার রোলে নাম থাকলেও ত্রাণ দেয়নি চেয়ারম্যান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। গরিবের ত্রাণের চাল গায়েব করার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন থেকে দুই বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিনকে আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাচন কমকতা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান সরকারকে সদস্য করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠনের পর মঙ্গলবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলবাট মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আনীত অভিযোগ নিয়ে ত্রাণবঞ্চিতদের সাথে কথা বলেন তদন্ত দল। ত্রাণ বঞ্চিতরা তাদের অভিযোগ পুনরায় তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন।
তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলবাট মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটির নিকট দাবি করেন।
ভূয়া তালিকা তৈরি করে গরিবের ত্রাণের চাল গায়েব করা নিয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত চলছে , তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলবাট মিয়া করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১১ এপ্রিল ঝালরচরে নিজ বাড়িতে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণের তালিকায় নাম থাকা সত্তে¡ও ঝালরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ২৪ জনকে ত্রাণ না দিয়ে উল্টো তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন চেয়ারম্যান।
সোমবার ১৩ এপ্রিল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ত্রাণ বঞ্চিতরা।