ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন |
অভিযোগ সূত্র জানায়, ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন করোনায় সরকারি ত্রাণসামগ্রী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যকে অবগত না করেই নিজের ইচ্ছামাফিক তালিকা করেন। কয়েকজন গরীবের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে তাদের ত্রাণসামগ্রী না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই আত্মসাৎ করেন। একজন ব্যক্তির নাম মাস্টাররোলে দেখিয়ে দুইবার ত্রাণ উত্তোলন করে নেন। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যা মোছা. আমিনা খাতুন গত বৃহষ্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তার ওয়ার্ডের তালিকাভূক্ত বঞ্চিত আটজন ও দুইবার তালিকাভূক্ত এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। ১২টি দপ্তরে এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
পরিষদ সূত্র জানায়, এ ইউনিয়নে তিন কিস্তিতে মোট এক হাজার ১০০টি ত্রাণের প্যাকেট আসে। যার প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, আলু ও সয়াবিন তেল রয়েছে। প্যাকেটগুলো চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন সঠিকভাবে বণ্টন না করে নয়-ছয় করেন।
পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যা আমিনা খাতুন জানান, চেয়ারম্যান তার কর্মী ও পছন্দের লোকদের ত্রাণসামগ্রী দেয়ায় অনেক অসহায়-গরীবদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি ওই ওয়ার্ডের ত্রাণ কমিটির সভাপতি হলেও তাকে কোনোকিছু অবগত করা হয়নি। এছাড়াও চেয়ারম্যান ১০টাকা কেজি চাল নিয়েও ডিলারের সাথে মিলে দুর্নীতি করেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি মিথ্যা। অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে, তাদেরকে সবাইকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে বিষয়টি যাচাই করতে অভিযোগে উল্লেখিত কয়েকজনকে ফোন করা হয়। এদেরমধ্যে ২নং ওয়ার্ডের বালিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী হোসনেয়ারা জানান, ‘ত্রাণ দেয়ার কথা বলে তার স্বামীর কাছ থেকে টিপসহি নেয়া হয়েছে, কিন্তু চাল-ডাল কিছু দেয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুদক বরাবর একজন মহিলা মেম্বার লিখিত দিয়েছেন, আমি তার একটি অনুলিপি পেয়েছি।’