সেবা ডেস্ক: একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ ঘাসফুল প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক অধিকারের সম্পাদক তাজবীর সজীবের দুটি গ্রন্থ। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও সময়ের উপযোগী তাত্ত্বিক বিষয়বস্তু নিয়ে দৈনিক অধিকারের ব্যবস্থাপনায় এবং তাজবীর সজীবের সম্পাদনায় একটি এবং অন্যটি গল্পগ্রন্থ ‘অধিকার’।
‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’ গ্রন্থে থাকছে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও সময়ের উপযোগী তাত্ত্বিক বিষয়বস্তু। একই সাথে থাকছে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিতে সুখ্যাতি অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার জ্যেষ্ঠ এবং তরুণ সাংবাদিকদের বর্তমান গণমাধ্যম ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে অভিমত।
তাজবীর সজীব গ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন, ‘দৈনিক অধিকারের ব্যবস্থাপনায় আমার সম্পাদনায় গণমাধ্যম নিয়ে বড় পরিসরের কলেবরের গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’। আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার, ভালোলাগার ব্যাপার, আমার সম্পাদিত এই বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিতে সুখ্যাতি অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার জ্যেষ্ঠ এবং তরুণ সাংবাদিকগণ। তারা গ্রন্থটিতে করেছেন গণমাধ্যম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গণমাধ্যমের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পলিসি, বর্তমান চিত্র, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকার, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়েও লিখেছেন। এছাড়াও আছে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ভাবনার একীভূতকরণ, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বর্তমান এবং দুজন সাবেক উপাচার্যদের চোখে গণমাধ্যমের চিত্র, ভূমিকা, প্রভাব, পরিধি, ব্যাপ্তি, সংকট, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ।’
গণমাধ্যম নিয়ে যারা ভাবে, এই গ্রন্থটি পড়ার পর তাদের জন্য নতুন অথবা পুরনো ভাবনার খোরাক মিটিয়ে নতুন ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে যে ভাবনাগুলো বারবার মাথায় বিশ্বাসঘাতকতার খেলা খেলেছে, এই বইটি সেখানে আজ সব ধাঁধার উত্তর মিলিয়ে দিতে পারে। যারা গণমাধ্যমকে নেশা এবং পেশা বানিয়ে ফেলেছেন, কেউ দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছেন সামনের পথে, কেউবা এগোতে চান, কেউ নিশ্চয়ই আছেন এমন দলে যারা গণমাধ্যম নিয়ে চূড়ান্তভাবে হতাশ, সব ছেড়েছুড়ে দূরে কোথাও চলে যাবার পরিকল্পনায় ব্যস্ত তাদের জন্যও এই বইটি।’
‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’ সম্পাদনার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তাজবীর সজীব বলেন, ‘সবমিলিয়ে দেশ সেরা গুণী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সন্নিবেশ ঘটা গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’- এর সম্পাদনা করতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করে যারপরনায় আনন্দবোধ করছি। আশা করছি আমার মতো পাঠকগণও গ্রন্থটি হাতে পেয়ে একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করবে।’
গ্রন্থটিতে লিখেছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষার পথিকৃৎদের অন্যতম অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান; গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং চ্যানেল আইয়ের অন্যতম কর্ণধার শাইখ সিরাজ; চ্যানেল আইয়ের নিউজ এডিটর আদিত্য শাহীন; মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়্যারম্যান রেজোয়ানুল হক; জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম; এস এ টিভির নিউজ এডিটর রনজক রিজভী; চ্যানেল আই ডিজিটাল এবং ইউটিবের প্রধান দায়িত্বশীল আসাদ ইসলাম; জাগো নিউজ ২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার; ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পোর্টস এডিটর রাকিবুল হাসান; কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, ছড়াকার এবং দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডট নেটের উপসম্পাদক পলাশ মাহবুব; যমুনা এবং মোহনা টেলিভিশনের সাবেক চিফ নিউজ এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ; আরটিভি অনলাইনের প্রধান দায়িত্বশীল আবদুল হাকিম চৌধুরী; সাংবাদিক এবং নন্দিত কলামিস্ট মীর আব্দুল আলীম; প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান; দৈনিক সময়ের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আবু বকর সিদ্দিক; আরটিভি অনলাইনের ডেপুটি নিউজ এডিটর মাজহার খন্দকার, মফস্বল সাংবাদিক নজরুল ইসলাম শুভ এবং কাজী মো. কামাল হোসেন; তরুণ লেখক ও কলামিস্ট ওয়াহেদ সবুজ এবং মাহবুব নাহিদ; তরুণ সাংবাদিক ও লেখিকা নিশীতা মিতু এবং দৈনিক অধিকারের সহযোগী সম্পাদক গোলাম যাকারিয়া।
এছাড়াও শিক্ষাবিদদের চোখে গণমাধ্যমকে দেখার চেষ্টা স্বরূপ থাকছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী স্যার; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ মৃত্তিকা বিজ্ঞান সোসাইটির সভাপতি ড. এস এম ইমামুল হক; বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
অন্যদিকে গল্পগ্রন্থ ‘অধিকার’ সেজে উঠেছে ভিন্নধর্মী সকল গল্প নিয়ে। যে গল্পগুলোয় আছে ভিন্ন মাত্রা, স্বাদ, নিজস্ব ঢঙের আবেগ এবং সেন্স অফ হিউমার।
‘অধিকার’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাজবীর সজীব বলেন, ‘২০১৬ সালের বইমেলায় আমার প্রথম উপন্যাস প্রাণভোমরা প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি সম্পর্কে আমার শ্রদ্ধেয় স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেছিলেন, বইটি ভালো লেগেছে। প্রশংসা বাক্যের ঠিক পরেই, স্যার আমাকে পরামর্শ দিলেন উপন্যাসের দিকে না গিয়ে আমার বেশি করে গল্প লেখা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘হয়েছে কী? ছেলেবেলা, কিশোরবেলা অথবা বড়বেলা যখনই আমি লিখেছি তখনি মানসপটে উপন্যাসের রূপ দেখার চেষ্টা করেছি এবং দেখেছিও কিন্তু স্যারের যুক্তিযুক্ত পরামর্শ আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করল। এখান থেকে নিজেকে ভেঙে গল্প লিখতে শুরু করলাম। যদিও ‘প্রাণভোমরা’র কয়েকটি প্লট পরিমার্জিত করে এই গ্রন্থে এনেছি তাই বলে পাঠক নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। নতুন অনেকগুলো টাটকা গল্প ফেঁদেছি অধিকার গ্রন্থটিতে।’
উল্লেখ্য, গ্রন্থ দুটি পাওয়া যাবে একুশে গ্রন্থমেলার ঘাসফুল প্রকাশনীর ৪৬৩ নম্বর স্টলে এবং লিটল ম্যাগের ১০১ নং স্টলে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।