সেবা ডেস্ক: আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ‘ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে’ উদযাপনে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে পাকিস্তান।
প্রতিবছর ভালোবাসা দিবস পালন নিয়ে দেশটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কেউ এটা স্বচ্ছন্দে পালন করেন, আবার কেউ বিরোধীতা করেন।
পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলো ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁ-বেকারিতে ভালোবাসা দিবসে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে বিরোধীরা দেশব্যাপী ‘ভালোবাসা দিবসকে না বলুন’-এর প্রচার চালায়।
ইসলামি ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে ভালোবাসা দিবসকে ‘সিস্টারস ডে বা বোন দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা
২০১৭ সালে পাকিস্তানে উন্মুক্ত স্থান ও সরকারি অফিসে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের এ সিদ্ধান্ত সারা দেশে ‘দ্রুত কার্যকর করতে’ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারির ১৪ ‘ভালোবাসা দিবসের’ এই নিয়মকে পাল্টাতে চাচ্ছে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ইউনির্ভার্সিটি অব এগ্রিকালচার। ইসলামি ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে ভালোবাসা দিবসকে ‘সিস্টারস ডে বা বোন দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য জাফর ইকবাল ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সিস্টারস ডে’ ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিস্টারস ডে পালনের সময় ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের স্কার্ফ ও আবায়াহ (বোরকার মতো এক ধরনের পোশাক) উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘সিস্টারস ডে বা বোন দিবস’
উপাচার্য জাফর ইকবাল বলেন, ভালোবাসা দিবসকে সিস্টারস ডে হিসেবে পালন করাটা হবে পাকিস্তান ও ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।