![]() |
সরিষাবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মাঠে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। |
জামালপুর প্রতিনিধি: ১২ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরিষাবাড়ী থানা হানাদারমুক্ত হয়। ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর সমগ্র দেশ স্বাধীন হলেও তৎকালীন জামালপুর মহকুমার সরিষাবাড়ী থানা হানাদারমুক্ত হয় বিজয় দিবসের ৪ দিন আগেই। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যদিয়ে স্বাধীন করতে দামাল ছেলেরা মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন।
১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ পান যে, দুই শতাধিক পাকসেনা রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে অবস্থান করছে। এ সংবাদে ওই রাতেই নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নাজিম বাহিনী, আনিস বাহিনী, রশিদ বাহিনী, লুৎফর বাহিনী ও ফজলু বাহিনী বিশেষ সাহসী ভুমিকা নিয়ে মিত্র বাহিনীর সহায়তায় যৌথ অভিযান চালায়। এ রাতে পিংনার বারইপটল ফুলদহের পাড়ায় পাক বাহিনীর গুলিতে ১১জন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মুক্তিকামীসহ ৪২জন শহীদ হন। রাতভর সম্মুখ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা ভোরে সকল পাক সেনাকে আটক করা হয়। পরদিন ১২ ডিসেম্বর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সরিষাবাড়ী থানা শত্রæমুক্ত ঘোষনা করা হয়।
সরিষাবাড়ী শত্রæমুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ প্রশাসন ও রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনগুলোর যৌথ অংশগ্রহণে বিজয় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপি নানা কর্মসূচী পালিত হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।