সেবা ডেস্ক: একজন পুরুষ ও মহিলার মাঝে সম্পর্ক তৈরীর মধ্যে বিয়ে অন্যতম। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে: দু’জন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে যদি দু’জন সাক্ষীর সামনে প্রচলিত রেজিস্ট্রি ব্যতিত ঈজাব ও কবুলের মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদন করে, তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে তা বৈধ হবে কিনা?
যদি হয়, তাহলে ওই মেয়ের অভিভাবকগণ যদি তাদের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ ব্যতিত অন্য কোথাও বিবাহ দেয় তাহলে দ্বিতীয় বিবাহের হুকুম কী?
উত্তর: যদি ছেলে-মেয়ের মধ্যে কুফু বিদ্যমান থাকে অর্থাৎ বংশ মর্যাদা, দ্বীনদারি ও পেশার দিক দিয়ে ছেলে যদি মেয়ের থেকে নীচু না হয়, তাহলে পিতা-মাতা রাজি হোক বা না হোক বিবাহ সহিহ হবে। যদিও অভিভাবকের সম্মতি না নিয়ে এভাবে বিবাহ করা মেয়ের জন্য নিতান্তই গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
শরিয়ত সম্মত কোনো কারণ না থাকলে এমতাবস্থায় পিতা-মাতা নারাজী প্রকাশ না করে এ বিবাহ মেনে নেয়াই ভাল। এই অবস্থায় মেয়েকে অন্য কোথাও বিবাহ সহিহ হবে না; বরং পূর্বের বিবাহ বহাল থাকবে।
কিন্তু যদি মেয়ে অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া তার চেয়ে নীচু বংশের বা বখাটে বদ-দ্বীন ছেলের সঙ্গে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তাহলে এ বিবাহ সহিহ হবে না। এরূপ ক্ষেত্রে অভিভাবকগণ মেয়েটিকে অন্যত্র বিবাহ দিতে পারেন।
স্মর্তব্য: শরীয়তের দৃষ্টিতে বিবাহ সহিহ হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রি করা জরুরি নয়। তবে সামাজিক নিয়মে ঝগড়া-ফাসাদ থেকে বেঁচে থাকার জন্য রেজিস্ট্রি করে নেয়া ভাল। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/৩৪৪, ইমদাদুল মুফতীন: ১/৫৫১, আহসানুল ফাতওয়া: ৫/৯৬)।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।