দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২২৫০ মিটার

S M Ashraful Azom
0
দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২২৫০ মিটার
সেবা ডেস্ক: শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ২৩ ও ২৪ নম্বর খুঁটির ওপর আজ মঙ্গলবার স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ১৫ তম স্প্যান '৪-ই' বসানো হয়েছে। এতে সেতুর মূল অবকাঠামো দৃশ্যমান হলো ২ হাজার ২৫০ মিটার। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর খুঁটির উপর স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।

এক সপ্তাহ আগে এ স্প্যানটি বসানোর তারিখ নির্ধারণ থাকলেও নাব্যতা সঙ্কটের কারণে দেরি হয়।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, দুই খুঁটির মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় খুঁটির উচ্চতায়। রাখা হয় দুই খুঁটির বেয়ারিংয়ের উপর।

সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম ও নাব্যতা সংকটের কারণে ৩ মাসের বেশি সময় ধরে পদ্মা সেতুতে কোনো স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। ড্রেজিং করেও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাচ্ছিল না। কয়েকদিন আগে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হলেও নাব্যতা সংকট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করেও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে নানা বাধা পেরিয়ে স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়। ১৪ তম স্প্যান বসানোর ৩ মাস ২৩ দিনের মাথায় স্থায়ীভাবে বসলো ১৫ তম স্প্যান।

এর আগে সোমবার সকালে জাজিরা প্রান্তের চর এলাকা থেকে '৪-ই' স্প্যানকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির সামনে নোঙর করে রাখা হয়।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, ড্রেজিং করেও স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পলি অপসারণ করার ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসছে নদীর তলদেশ। ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন বহন করে আনতে নাব্যতা সংকট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

প্রকৌশলীরা জানান, ইতোমধ্যে পদ্মাসেতুর আরও তিনটি স্প্যান প্রস্তুত হয়ে আছে। নাব্যতা সংকটের কারণে স্প্যানগুলো বসাতে দেরি হচ্ছে। সেতুর ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩ নম্বর খুঁটির ওপর চারটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে চলতি বছরের মধ্যে।

সর্বশেষ ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর বসে ‘৩ সি’ নম্বরের চতুর্দশ স্প্যানটি বসানো হয়।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কো¤পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top