আবারও বাড়ল পেঁয়াজের দাম, সবজিতে স্থিতিশীল

S M Ashraful Azom
0
আবারও বাড়ল পেঁয়াজের দাম, সবজিতে স্থিতিশীল
সেবা ডেস্ক: সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বাড়লেও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তবে সবজির দাম আগের মতোই আছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা৷

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেতসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের বাড়তি দামের পাশাপাশি প্রতি কেজি রসুন ও আদার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা।

এ সব বাজারে এক সপ্তাহে আগে খুচরা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা মিশর ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা এবং ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।

অথচ সপ্তাহ যেতে না যেতেই সরবরাহ কমেছে এমন অজুহাতে ভারতীয় পেঁয়াজে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এর আগে ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এ সব বাজারে খুচরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

শেওড়াপাড়ায় বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যকরী কোনো ভূমিকা চোখে পড়ছে না। নিয়মিত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাজার মনিটরিং করা হলে দাম অবশ্যই নাগালের মধ্যে চলে আসবে। না হলে এভাবেই সাধারণ ক্রেতার পকেট কাটবে বিক্রেতারা।

অপরদিকে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, আমাদের বাজার উঠা-নামা করে প্রতিনিয়ত। পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারে দাম কমে যাবে, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে এখানেও বাড়ে। এ সব দাম ক্ষণস্থায়ী, আমদানি বেশি হলে দাম কমে আসবে।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর রহিম বলেন, পূজার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে পেঁয়াজ (মোটা পেঁয়াজ) বাজারে আসেনি। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে, দামও বেড়েছে। তবে এ পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে।

অপরদিকে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আজও বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ। সবজির সঙ্গে কিছুটা কমেছে শাকের বাজার। এসব বাজারে প্রতি আটি লাল শাক ১০ থেকে ১২ টাকা, মুলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, সুরমা ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, রুই ২৩০-৩০০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, কোরাল ৪৫০-৮০০ টাকা, প্রতি কেজি রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১২০০ টাকায়।

আর বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা, কক মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top