মারধরের শিকার মেলান্দহের কলেজ ছাত্রী স্বপ্না ও মা জহুরা বেগম |
জানা গেছে, ২৬ দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেশি হাসমত আলী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বপ্নার পিতা আবুল কালাম মোল্লার সাথে কলহের ছল খুজতে থাকে। কালাম মোল্লা ওই গ্রামের একজন জনবলহীন রিক্সাশ্রমিক হিসেবে বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে হাসমত আলী কালাম মোল্লার বাড়ির আঙ্গিনায় গরু দিয়ে ক্ষতি সাধন করে। কালাম মোল্লার স্ত্রী মহুয়া বেগম হাসমত আলীকে গরু সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। এতেই হাসমত আলী ও তার স্ত্রী চায়না বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে মহুয়াকে মারপিট করে। কলেজ ছাত্রী রাবেয়া সুলতানা স্বপ্নার মা মহুয়া বেগমকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এতেই শেষনয়, ওই পরিবারকে অবরোধ করে রাখে হাসমত আলীর লোকজন।
খবর পেয়ে কালাম মোল্লার স্ত্রী ও মেয়েকে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। জামালপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লোকজন হাসপাতালে তাদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে হাসপাতালের লোকজন তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। পরে অন্যান্য রোগির স্বজনদের অনুরোধে দায়সারা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাইরে চিকিৎসা সেবা নেন। ঘটনার রাতেই কলেজ ছাত্রীর মা মহুয়া বেগম মেলান্দহ থানায় মামলা (নং-২৫) দায়ের করেছেন।
ওদিকে হাসমত আলী কলেজ ছাত্রী স্বপ্না এবং তার পিতা-মাতাকে আসামী করে উল্টো মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মামলায় জেতার জন্য হাসমত আলীর স্ত্রী চায়না বেগমকে কৃত্রিম জখমী দেখিয়ে মেলান্দহ হাসপাতাল থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য দালালের মাধ্যমে তদবির চলছে।
এ ব্যাপারে কালাম মোল্লা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান-কলেজ ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা শোনার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। উভয়ের মামলা গ্রহণ করেছি। তদন্ত চলছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।