বকশীগঞ্জের হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করলো মুসলিম মেয়ে, ছেলে আটক

S M Ashraful Azom
0
হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করলো মুসলিম মেয়ে, ছেলে আটক
রেজাউল করিম, শেরপুর প্রতিনিধি: হিন্দু ধর্মালম্বী এক ছেলে ইসলাম ধর্মের একে মেয়েকে ভালবেসে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে প্রেমিক। উদ্ধার হয়েছে প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে।

প্রেমিক প্রেম কুমার (২৮)। সে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ গ্রামের দিগন্ত চকিদারের ছেলে। প্রেমিকা তের বছর বয়সের কিশোরি উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারী গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে ও কাকিলাকুড়া সদাগরবাড়ি বালিকা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই কিশোরির মা মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা শোনে অনেকে বলেন, এটা তাদের প্রেমের খেসারত।

মোর্শেদা বেগম জানান, তাদের বাড়ির পাশে হিন্দু ধর্মালম্বী প্রেম কুমারের নানার বাড়ি। সে সুবাদে প্রেম কুমার তাদের বাড়িতে আনাগোনা করতো। এক পর্যায়ে তার মেয়ের সাথে প্রেম কুমারের পরিচয় হয়। পরে ফুসলিয়ে সে তার মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এর সে তার মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছে। এ জন্য তিনি গত ২৪ অক্টোবর প্রেম কুমার, তার বাবা, মামা ও মামাতো ভাইসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(১)৩০ ধারায় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই আনোয়ার হোসেন অভিযান চালিয়ে প্রেমিক প্রেম কুমার ও প্রেমিকা ওই কিশোরিকে বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ গ্রামের দিগন্ত কুমারের বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রেম কুমার জানায়, কিছুদিন যাবত তার সাথে ওই কিশোরির মন দেয়া নেয়া চলছিল। এরই জের ধরে ওই কিশোরি তাদের বাড়ি থেকে তার হাত ধরে বের হয়ে যায়। পরে প্রেম কুমার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। বর্তমানে তার নাম আব্দুর রহমান। সে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ওই কিশোরি ও প্রেম কুমার কালের কন্ঠকে জানায়, তারা একে ওপরকে ভালবাসে। এ জন্য দু’জনের সম্মতিতে বিয়ে করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে চন্দ্রাবাজ গ্রামের তাদের বাড়ি থেকে প্রেম কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই কিশোরিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার ওই কিশোরিকে শেরপুর আদালতে নিয়ে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে।

 এছাড়াও জেলা সদার হাসপাতালে তার মেডিকেল পরীক্ষার পর বয়স নির্ধারনের জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরি তার সাথে ঘর করবে বলে জানিয়েছে। সে তার বাবা মার সাথে যেতে চায় না। তবে আদালতে মাধ্যমে সীদ্ধান্ত হবে সে কোথায় যাবে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অপর আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top