সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যেই দেশের সব ধরনের নাগরিক সেবা মানুষের আঙুলের ছোঁয়ার আওতায় আনতে চাই। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল সেবায় আমরা ৪০-৫০ ধাপ এগিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে আমরা আরো ৫০ ধাপ এগোতে চাই।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তিনটি নাগরিক সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দশ বছর আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করি। তখন বেশিরভাগ মানুষ জানতোই না ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে কী। গত ১০ বছরে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিগুলো নির্মাণ করেছি, তাই ১০ বছর লেগেছে ই গভার্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে। তখন আমরা প্রযুক্তিগতভাবে একেবারে পিছনের সারিতে ছিলাম। আর সেই জায়গা থেকে এখন আমরা অনেকের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছি। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা।
আমি যেসব উদাহরণকে খুব অনুসরণ করি তার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম। বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আধুনিক দেশে পরিণত হয়েছে তার একটি দক্ষিণ কোরিয়া। যার মাধ্যমে তারা এখন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের লিডারে পরিণত হয়েছে। তারা স্যামসাং দিয়েই কত কিছু করেছে। আমরাও সেই পথেই এগোচ্ছি। আমরাও দেশের পণ্য দিয়ে বিশ্বে তাদের মতো করে নাম করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আজকের যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা সেটার জন্যই ডিজিটার মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে সময় নিয়েছে সরকার। কারণ, কোনো কিছুর ভিত্তি যদি মজবুত না হয় তবে সেটি খুব ভালো কাজে আসবে না।
অনুষ্ঠানে দেশে অনলাইনে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি, বিল পরিশোধ ও গ্রামীণ উৎপাদনকারীর পণ্য শহরের ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম একপে, একসেবা এবং একশপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের আওতায় আপাতত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এবং নয়টি পৌরসভায় এসব নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। পরে তা ছড়িয়ে দেয়া হবে সারা দেশে।
এই নাগরিক সেবার আওতায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নাটোর, ঝিনাইদহ, টুঙ্গিপাড়া, পীরগঞ্জ, সিংড়া, তারাবো ও রামগতি পৌরসভায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এটি শুরু হলো।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
অনুষ্ঠানে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর মধ্যে ১০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে তিন সংস্থার পাওয়া পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়। এটু্আইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাতে ‘গভইনসাইডার ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’-এর ‘বেস্ট সিটিজেন এনগেজমেন্ট প্রজেক্ট’ পুরস্কার তুলে দেন। এরপর ‘ডব্লিউআইটিএসএ গ্লোবাল আইটিসি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। আর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব ‘ডিসিডি এপিএসি অ্যাওয়ার্ড’ ২০১৯ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।