সেবা ডেস্ক: মোবাইল ফোনে মিস কল, তারপর আস্তে আস্তে পরিচয় আদান-প্রদান। পরিচয় আদান-প্রদান থেকে প্রেম। তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন দৈহিক মিলন। এভাবেই দিনাজপুরের বিরামপুরে কাটলা ইউপির শৈলান গ্রামের বিবাহিত যুবক আতাউর রহমান ওরফে সাদ্দাম একই ইউপির এক কলেজছাত্রীর সর্বনাশ করে আসছিলেন। অবশেষে সেই সম্পর্কে গড়াল থানা পর্যন্ত।
সোমবার ওই ছাত্রী আতাউর রহমান সাদ্দাম ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের নামে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ এই ঘটনায় এরই মধ্যে মাসুম রানা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
রোববার বিয়ের দাবিতে আতাউরের বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মতিয়ার রহমান জানান, গত ছয় মাস আগে শৈলান গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আতাউর রহমানের সঙ্গে ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে পরিচয় হয়। আতাউর নিজের বিয়ের পরিচয় গোপন করে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ছাত্রীটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ভোগ করে। গত ২৬ অক্টোবর আতাউর ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিরামপুর পৌর শহরের আদর্শ পাড়াতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে রাত যাপন করে। পরে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবি করলে আতাউর কেটে পড়ে।
গত রোববার ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে আতাউরের বাড়িতে যায়। সেখানে গেলে আতাউরের বাবা-মা ও স্ত্রী ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বিরামপুর থানায় এসে মামলা করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আদর্শপাড়া থেকে মাসুম রানাকে গ্রেফতার করেছে।
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।