সেবা ডেস্ক: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে যারাই নির্বাচিত হোক না কেন আমি তাদেরকে স্বাগত জানাবো। শিল্পী সমিতির কাজ শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করা। আমরা দালাল মুক্ত শিল্পী সমিতি চাই। সমিতি যেন সবদিক থেকে দালাল মুক্ত থাকে।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এসে শুক্রবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন চিত্রনায়িকা পপি।
পপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়টা আমি সমর্থন জানাই। পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে তারাও সে চেষ্টা করছে। তবে নিরাপত্তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এখানে বাইরের কেউ নেই, আমরা আমরাই। সবাই এক পরিবার।
যারা নির্বাচিত হবেন তাদের উদ্দেশে পপি বলেন, নির্বাচিতরা হবে সকল শিল্পীদের প্রতিনিধি। তাদের মাধ্যমে সব ধরনের শিল্পীদের আশার সঞ্চার হবে। এখানে কে ছোট-বড়, ধনী-গরিব এসব ভাবা যাবে না; শিল্পী শিল্পীই। এখন একজন শিল্পীকে আপনি সাহায্য করে সেটা আবার ফেসবুকে ছবিসহ পোস্ট করবেন তাহলে শিল্পীর কদরটা কোথায় গেল? আমি চাইবো এসব বিষয় যেন পরিহার করা হয়।
নতুন নির্বাচিতদের পাশে থেকে কাজ করবেন জানিয়ে পপি বলেন, আমার কারো প্রতি রাগ বা ক্ষোভ নেই। সবাই আমার কাছে সমান। নির্বাচিতদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। হয়তো আমি অপরাধ মানতে পারিনা, সত্যতা মুখ ফসকে বলে ফেলি এটা অনেকের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে থাকতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিএফডিসিতে চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ৪৪৯ জন ভোটার। এবাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০১৯-২১) মেয়াদে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। সহ-সভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রত’র বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।
নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন- অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।
এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।