সেবা ডেস্ক: চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের বাথরুমে নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা খেলেন আরিফ হোসেন নামে পুলিশের এক এএসআই।
সেখানে বাথরুমের ভেতরে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। পরে তাকে তুলে দেয়া হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে। অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আরিফ হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন আদালত ভবনে উপস্থিত লোকজন। বিচারপ্রার্থী এক নারীর সঙ্গে তাকে পাওয়া যায় জেলা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলার বাথরুমে।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রাম থেকে আগত বিচারপ্রার্থী নারী স্বামীর দায়ের করা দুটি মামলার আসামি। তিনিও একটি মামলা করেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। এসব মামলার কাজে ওই নারী বুধবার আদালতে আসেন। পরে তাকে বাথরুমে পাওয়া যায় পুলিশের সঙ্গে। পরে তাদের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চাঁদপুরের এসপি বলেন, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না। তদন্তে পুলিশ সদস্য আরিফ হোসেন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএসআই আরিফ হোসেন জেলা জজ আদালতে কর্মরত। জেলখানা থেকে প্রতিদিন আসামিদের আনা নেয়ার কাজ তদারকি করেন তিনি।
বুধবার নারীসহ এএসআই আরিফকে আটকের ঘটনা জানতে পেরে ডিবির ওসি নূর হোসেন মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তারা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সহায়তা নিয়ে আটক পুলিশ ও নারীকে নিজেদের হেফাজতে নেন। এরপর নারীসহ পুলিশকে এসপি কার্যালয়ে নেয়া হয়। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের পর নারীকে হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। বিকেলে অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনস্-এ সংযুক্ত করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর এ ঘটনায় এসপি কার্যালয়ে কর্মরত পরিদর্শক (অপরাধ) নাজমুল হককে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন এসপি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।