খুলনার জার্মান বাদলের হোটেল থেকে মাদকসহ ১৮ নারী গ্রেফতার

S M Ashraful Azom
0
খুলনার জার্মান বাদলের হোটেল থেকে মাদকসহ ১৮ নারী গ্রেফতার
সেবা ডেস্ক: র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের একের পর এক অভিযানে ধরা পরছে বড় সব রাঘব বোয়াল। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে নিজ পদ থেকে সরিয়ে দেয়ায় টনক পড়ে যুবলীগে । র‍্যাব প্রথমেই যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুরু হয় ক্যাসিনো অভিযান। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা বিদেশী মাদকদ্রব্য ও ১৪২জনকে আটক করা হয় । গতকাল নগদ ১০কোটি ও প্রায় দুইশ কোটি টাকার এফডি আর, বিদেশী মদসহ আটক করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামিমকে ।

আর এই অভিযানে আতংক ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের টেন্ডারবাজ ও ক্লাব বানিজ্যকারী নেতা ও দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে । বৃহস্পতিবার গভীররাতে খুলনা হাজ্বী মহাসিন কলেজের সাবেক ভিপি ও জার্মান আওয়ামীলীগ নেতা বাদল ওরফে জার্মান বাদলের গাজীপুরের টঙ্গীর বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল ও ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় জার্মান বাদলের হোটেল ‘জাভান’ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ১৮ নারী পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়। হোটেল ও ক্লাবটির মালিক জার্মান আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বাদল। তবে পুলিশ জার্মান বাদলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। টঙ্গী মডেল থানার ওসি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে হোটেল ‘জাভান’ অভিযান চালায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ওই হোটেলে প্রতি রাতেই চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। বিভিন্ন এলাকার তরুণ-তরুণীরা হোটেলটিতে এসে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মদ বিয়ার ও নগ্ন অবস্থায় নাচ-গান করত।এরপর মাতাল অবস্থায় সেখানে রুমের ভেতর অসামাজিক কার্যকলাপ চালাত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেলটিতে অভিযান পরিচালনার পর ৩৩ বোতল বিদেশী মদ ও ৬০ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১২ তরুণী ও ৬ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

অপরদিকে ঢাকায় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের একের পর এক অভিযানের ফলে খুলনায় আতংকে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের একাধিক টেন্ডারবাজ,ক্লাব পরিচালনাকারী নেতা, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভুমিদস্যুতাকারী, নিয়োগ, বদলী, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে হরিলুটকারী দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে । আর এই অতংকে ইতিমধ্যে কয়েকজন দাপুটে নেতা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন । অনেক নেতা ও সরকারী কর্মকর্তার বিলাশবহুল বাড়ি গাড়ি থাকা সত্বেও ভাড়া বাসা এবং আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে থাকা শুরু করছেন । অনেকে নগদ টাকা বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে ফেলছেন যাতে করে নগত টাকাসহ গ্রেফতার না হন।

সুত্র জানায়, ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, এসব ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কালো টাকার মালিক বনে যাওয়া নেতা, সরকারী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, নিয়োগ, বদলী বানিজ্য জরিতরা, টেন্ডারবাজ এবং অন্যের ভুমি দখলকারী ও খুলনার চিহিৃত ভুমিদস্যুদের একটি খশরা তালিকা তৈরি করে উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে । সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবুজ সংকেত পেলেই যেকোন মুহুর্তে এই সকল তালিকাভুক্ত ব্যাক্তিদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু হতে পারে । ইতিমধ্যে আতংকে থাকা আলোচিত ব্যাক্তিরা বিভিন্ন পর্যায়ে দৌড়ঝাপ শুরু করছেন নিজেদের বাঁচাতে ।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top