
রফিকুল আলম,ধুনট: বগুড়ার ধুনট থেকে সিরাজগঞ্জের বাগবাটি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক পাকা করার কাজ শেষ না করেই ৯ বছর ধরে উধাও হয়ে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল তা দ‚রের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে পারছে না। এতে করে প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সড়কটি নির্মান (কার্পেটিং) করার জন্য দুই দপ্তরের বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রথম বরাদ্দটি এলজিইডির বগুড়া অঞ্চল থেকে। দ্বিতীয়টি সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে। পরে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে কাজ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ২০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার অংশ বগুড়ার ধুনট উপজেলার মধ্যে। বাকি ৬ কিলোমিটার সড়ক সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার মধ্যে।
এদিকে ২০০৯ সালে এই সড়কের ১২০০ মিটার অংশ পাকা করার জন্য এলজিইডি বগুড়া অঞ্চল থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পায় মেসার্স আরকে এ্যান্ড এইচ এম জয়েন্ট ভেঞ্চার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টম্বর ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৮ ফুট প্রস্থের সড়কটিতে কাজ শুরু করে।
এ অবস্থায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে একই সড়কে প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। দরপত্র অনুযায়ী সিরাজগঞ্জের আরএস এ্যান্ড জেএস কনষ্ট্রাকশনকে কাজ করা অনুমতি দেওয়া হয়। একই সড়কে ডবল বরাদ্ধের বিষয়টি জানতে পেয়ে এলজিইডির ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায়।
পরে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার ২০১০ সালের ফেব্রæয়ারী মাস থেকে কাজ শুরু করে। সড়কাটির মাঝে মধ্যে কার্পেটিং ও ইট, শুড়কি, খোয়া ফেলে ২৫ শতাংশ কাজ করে। কিন্ত অবশিষ্ট কাজ শেষ না করেই ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। এরপর কোন দপ্তর থেকে এই সড়কটির খোঁজ খবর নিচ্ছে না।
এলজিইডির তৎকালিন ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, প্রথম দফা কার্যাদেশ দিয়ে এলজিইডির ঠিকাদারকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে জানা যায় একই সড়ক নির্মানের জন্য সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বরাদ্দ দিয়ে অন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একারণে এলজিইডির অর্থায়নে কাজ বন্ধ করে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ আরএস এ্যান্ড জেএস কনষ্ট্রাকশনের মালিক আবু ইউসুফ সূর্য্যের সাথে মুঠোফোনে একাধিক যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামন বলেন, বাগবাটি-ধুনট ২০ কিলোমিটার সড়ক পাকা করনের জন্য মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রæত দরপত্র আহবান করে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। আগের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করেই উধাও হয়েছিল কি না তা আমার জানা নেই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।