সেবা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বেরীবাইদ গ্রামে গত শুক্রবার মোবাইল ফোন চুরি করার অভিযোগে শরীফুল ইসলাম শরীফ (১৭) নামের এক কিশোরের পরিবারের বসতভিটা উচ্ছেদ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রাম্য শালিসী বৈঠকের বিচারকরা। এলাকা ছাড়তে বাধ্য করতে ঐ কিশোরের অভিবাবকের বাড়ির ঘর-দরজা খুলে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শরীফ ওই গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। তার পরিবার একই উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়ন থেকে অনেক বছর আগে এ গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করে।
স্থানীয়রা বলেন, কিশোর শরীফের বিরুদ্ধে উক্ত গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে খালেকের মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফের বাড়িতে গ্রাম্য শালিসী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ গ্রামের মাতাব্বররা বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
বিচারে শরীফকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বাড়ি উচ্ছেদ করে গ্রাম ছাড়ার রায় দেয়। এ রায় শুনে অভিযুক্তের এক মামাসহ বিচারক ও বাদীদের লোকজন শরীফের বাড়ি ঘর ভাংচুর শুরু করে। প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগীদের পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিচারের রায় দেয়ার পর বাড়িঘর ভাংচুর করে দ্রুত বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, শুনেছি বাড়ি ঘর ভেঙে তারা এলাকা ছাড়ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন বলেন, এক এক করে সাত বার চুরি করে ধরা পড়েছে এই কিশোর। এ নিয়ে বিচারের মাধ্যমে এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত পরিবারকে বাড়িঘর ভেঙ্গে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাড়িঘর ভেঙে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলেন, ঘরে কেউ আক্রমণ করেনি, স্বজনরাই তার বাড়িঘর ভেঙে চলে যাওয়ায় সহায়তা করেছে।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আহমেদ পলি বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত নই। এ ধরনের অপরাধে কাউকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা যায় না বলেও তিনি জানান।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।