গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের আমবাগান নামকস্থানে পলাশবাড়ী ঘোড়াঘাট সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে করতোয়া নদীর ঢাল বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের উপর হতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে কয়েকদিন যাবৎ রাতে আধারে স্থানীয় এক যুবদল নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যানের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত বুলেট নামের এক ব্যক্তি সে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৪৫ টি ইউক্লিপ্টাস গাছ কর্তন করে।
এই সব গাছ কর্তনের সাথে স্থানীয় কয়েকজন সহ স্বঘোষিত গাছ রোপনকারী কমিটির কয়েকজন মিলে গাছ গুলো কর্তন করে স্থানীয় ছ মিল মালিক ও গাছ ব্যবসায়ি আজাহার আলী নিকট বিক্রি করেন গাছ কর্তনকারী এ চক্রটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাধের উপরের মোটা মোট গাছ গুলো কর্তন বেছে বেছে কাটা হয়েছে। কয়েকটি গাছের গোড়া থাকলেও অধিকাংশ গাছের গোড়া গুলোতে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে চর্তুর এই গাছ কর্তন কারী চক্র। এদিকে গাছ কর্তনকারী বুলেট সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেন ও নিজের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ করে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি মোবাইলে জানান,গাছ কর্তনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
গাছ রোপনকারী কমিটির সভাপতি রাঙ্গা জানান, উপর মহলের সকলের সাথে আলোচনা করে গাছ কয়েকটি কাটা হয়েছে । তবে গাছ কর্তনকরা বিষয়ে এর চেয়ে বেশী কিছু তার জানা নেই। গাছ কর্তন ও সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করেছেন বুলেট তিনি আরো বলেন স্থানীয় সাংবাদিকদের ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। এছাড়াও নানা জনকে অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে তাকে জানানো হয় ।
গাছ ক্রয়কারী গাছ ব্যবসায়ি আজাহার আলী বলেন এলাকায় কোন গাছ তিনি কেনাকাটা করেন না তিনি বাহিরে গাছ ক্রয় করেন ও বাহিরেই বিক্রি করেন। বাধের গাছ তিনি ক্রয় করেননি বলে অস্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মাঝে মাঝে রাতে চুরি করে গাছ কর্তন করে একটি চক্র এ গাছ গুলো ক্রয় করেন আজাহার আলী এবং সাথে সাথে গাছ গুলো ট্রাকে ভরে বাহিরে পাঠিয়ে দেন তিনি। গাছ কাটার পরে দিন ঘটনাস্থলে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের দেখা গেলেও এ বিষয়ে কোন নিউজ যেমন দেখা যায়নি তেমনি কোন আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
এদিকে চুরি করে গাছ কর্তনের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু জানান, গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে গাছ কর্তনের সত্যতা পান তবে কারা গাছ কেটেছেন তা তিনি জানতে না পাড়ায় কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। এসময় তিনি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থলে থানার এসআই আজিজ যান। এরপরে আর কি হয়েছে বা ঘটেছে তিনি জানেন না। এ বিষয়ে জানতে এসআই আজিজের সাথে যোগাযোগ করতে তাহার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডে গাইবান্ধার নির্বাহী মোখলেছুর রহমান ও অত্র বাধের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজ্জাম্মেল হক জানান, গাছ কর্তনের বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে দ্রæত সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন হলো পলাশবাড়ী উপজেলার উপরে বয়ে যাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের উপর হতে দিনে রাতে গাছ কর্তন করা হলেও অদৃশ্য কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয় না । এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বাধের উপরে আস্তে আস্তে গাছ শূন্য হয়ে পড়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।