সেবা ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার ‘বালি’ নামটি সবার কাছেই পরিচিত। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, পরিবেশ, এখানকার মন্দির, অধিবাসী, তাদের সংস্কৃতি ও জীবনপদ্ধতি মানুষকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চারের অন্যতম সেরা ঠিকানা এই বালি। আপনিও যেতে চান? তাহলে জেনে নিন বালিতে আপনার জন্য কী কী চমক অপেক্ষা করছে।
উবুদ
বালির সবচেয়ে ঐতিহ্যময় এলাকা উবুদ। এখানে বাটুয়ান নামক একটি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামের পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে আছে নানা বৈচিত্র্যময় পেইন্টিং এবং কাঠের কাজের নানা নকশা। চোখ জুড়িয়ে যাবে উবুদের সৌন্দর্যে। রয়েছে তেগালালাং রাইস টেরেস। রাস্তার ডানপাশে খাড়া পাহাড়গুলো কেটে ধানক্ষেত বানানো হয়েছে। রাস্তার পাশে দশ-বারোটি আর্ট গ্যালারি রয়েছে। রয়েছে পুসেহ মন্দির, দাসার মন্দিরের মতো অনন্যসুন্দর স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ মন্দির। উবুদের সৌন্দর্যের প্রতীক উবুদ রাজার ঐতিহ্যবাহী ‘উবুদ প্যালেস’। যেটি বালির প্রথাগত আবাসন এর প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর জীবনাচরণের সম্পর্কে সহজে ধারণা পাওয়া যায় উবুদ গেলে।তানাহ লট মন্দির
বালির সবচেয়ে সুন্দর মন্দির এটি। কুটা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মন্দিরটির অবস্থান। ছোট্ট একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই মন্দিরটির বয়স প্রায় দেড় হাজার বছর। বালির বহু ইতিহাসের সাক্ষী স্থাপনাটি। তানাহ লটকে ঘিরে রয়েছে সমুদ্র। সমুদ্রের প্রতিটা ঢেউ এসে এই মন্দিরটিকে ছুঁয়ে যায়।উলুয়াতু মন্দির
উলুয়াতু হচ্ছে বালির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এখান থেকেও চমৎকার সূর্যাস্ত দেখা যায়। পাহাড়ের উপরে অসাধারণ একটি মন্দির। আর চারপাশে নীলাভ জল। সমুদ্রের ঢেউগুলোতে আপনি সত্যিই হারিয়ে যাবেন অন্য ভুবনে। মন জুড়ানো বাতাস, সমুদ্রের সৌন্দর্য কি অপরূপ হতে পারে, না দেখলে বোঝানো মুশকিল। এখানেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাচাক ড্যান্স দেখার ব্যবস্থা। কাচাক ড্যান্সের যে ফ্লোর, সেখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা অনেকটা স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে আসে।বালি সাফারি ও মেরিন পার্ক
ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাণী থিম পার্ক হচ্ছে বালি সাফারি ও মেরিন পার্ক। প্রায় ৬০টি রকমের প্রাণী এই পার্কে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এখানকার অ্যাকোরিয়ামে রয়েছে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির মাছ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিড় জমান এখানে।গোয়া গাজাহ
নবম শতাব্দীতে নির্মিত, বালি দ্বীপের এই গুহাটিও অন্যতম সেরা পর্যটন স্থান। তবে গুহাটি দেখতে আর দশটি সাধারণ গুহার মতো নয়। গুহার প্রবেশপথটি দেখলে মনে হবে, ভয়ংকর কোনো দানব মুখ হাঁ করে বসে আছে। এটিকে 'এলিফ্যান্ট গুহাও' বলা হয়। ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক বিভাগে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে এই গুহাটিকে অন্তর্ভুক্ত করেন।-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।