সেবা ডেস্ক: বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে পাবর্ত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) ও বরিশাল জেলা আ’লীগের সভাপতি সিংহ পুরুষ খ্যাত জাতীয় নেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির সহধর্মীনি শাহানারা আব্দুল্লাহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে শরীরে বিদ্ধ বুলেটের দু:সহ যন্ত্রণা সহ্য করে স্বামীর সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।
শিশু পুত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু সহ স্বজন হারানোর সেই দুঃসহ রাত তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করে।চোখের সামনে বিভীষিকাময় সেই রক্তস্নাত রাতের স্মৃতি ভেসে উঠলে চোখ বেয়ে তার অশ্রুধারা নেমে আসে। এ কষ্ট আমৃত্যু তাকে বহন করতে হবে। শোকের মাস এলে তার সেই কষ্ট আরও বহুগুন বেড়ে যায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে শিশু পুত্র ও স্বজনদের রক্তমাখা নিথর মৃত মুখ। ১৫ আগষ্ট সেই দু:সহ রাতের কথা মনে পড়লেই তিনি আবেগ আপ্লুত ও অশ্রু সজল হয়ে পড়েন।সেই রাতে অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
আপসোস করেন সেই রাতে বঙ্গবন্ধুও যদি সপরিবারে বেঁেচে যেতেন তাহলে ইতিহাস আজ অন্যভাবে লেখা হতো। বাংলাদেশ রূপ নিতো সোনার দেশে। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগষ্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাকী খুনি ও চক্রান্তকারীদের ফাঁসির দাবী জানান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে রক্তঝড়া অচিন্তনীয় বিয়োগান্তুক অধ্যায়ের শোকগাথাঁয় জাতির জন্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে শ্বশুর তৎকালীণ কৃষিমন্ত্রী ও কৃষক কুলের নয়নের মনি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও নিজের শিশু পুত্র সুকান্ত আব্দুলাহ সহ পরিবারের অনেক স্বজনকে হারান শাহানারা আব্দুল্লাহ ।সেদিন রাতে মৃত্যুর দুয়ার থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের অপার কৃপায় অলৌকিকভাবে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বুলেটবিদ্ধ শাহানারা আব্দুল্লাহ ও তার কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু পুত্র বর্তমান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ প্রাণে বেঁচে যান।
শরীরে বেশ কয়েকটি বুলেট বহন করে অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে শাহানারা আব্দুল্লাহ স্বামী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির মতো আ’লীগের সুখ-দুঃখের অংশীদার। জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও মহিলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও শহীদ আ. রব সেরনিয়াবাত স্মৃতি পরিষদেরও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালণ করছেন তিনি।
তিনি তার স্বামী জেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি ও পুত্র বরিশাল সিটির জননন্দিত মেয়র যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বির্নিমানে সমানতালে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছেন।৭৫’র পর সেনাশাসক জিয়াউর রহমান, স্বৈরশাসক এরশাদ ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে (৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬) মিথ্যা মামলা সহ নানা ভাবে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারকে হয়রানির শিকার হতে হয়। ১/১১’র সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলেও ষড়যন্ত্রের শিকার হন তারা।
তবে সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাঝেও এ পরিবারটি বরিশালে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের একমাত্র ভরসাস্থল ও শেষ ঠিকানা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।