সেবা ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদশে আসা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে যেসব বেসরকারি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে যাতে রোহিঙ্গারা ফিরে না যায়। শিবিরগুলোতে লিফলেটও বিতরণ করা হচ্ছে। লিফলেটগুলোতে বলা হচ্ছে পাঁচটি দাবি না মানলে রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে না। মিয়ানমারে ফেরত না গেলে রোহিঙ্গারা নিজেদের ভবিষ্যৎ খারাপ করবে। তারা দেশের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। আর কিছুদিন পর বিদেশিরা সাহায্য কমিয়ে দিলে তারা নানা ভোগান্তিতে পড়বে। আমরা কতো খরচ করবো?
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আজ বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে আশা করে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া উচিৎ। মিয়ানমার বলেছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে। সেখানে আর কোন ঝামেলা থাকবে না।
তিনি বলেন, নিজ দেশে ফিরে না গেলে তারা ভুল করবে। যারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাইবেন না তাদেরকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
রোহিঙ্গাদের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। তাদের জন্য বাড়িঘরও তৈরি করেছে।
এদিকে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো এইচটে জানান, প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে আনা হবে। দুই দেশের সম্মতিতেই প্রত্যাবাসন শুরু হতে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছে, প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকাদের মধ্যে মাত্র ১০০ জনের মতো রোহিঙ্গা ফিরে যেতে রাজি হয়েছে। বাকিরা ফিরে যেতে চাচ্ছে না।
ফেরত না যেতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের দাবি; মিয়ানমারে তাদের থাকার পরিবেশ নেই। এই দাবির পক্ষে, জাতিসংঘসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেনি মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকার আন্তরিক নয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে মিয়ানমারের নাগরিক প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।