সেবা ডেস্ক: গতকাল বুধবার ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। ‘আইএনএক্স মিডিয়া’ মামলায় সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এয়ারসেল মাক্সিস, এয়ার ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় নাম আছে তাঁর।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বুধবার চিদাম্বরমের বাড়ির দেওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ওই মামলা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারি থেকে মুক্তি পাননি তিনি। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিদাম্বরমের বাড়িতে যায় সিবিআই। কিন্তু ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না চিদাম্বরম। অবিলম্বে হাজিরা দেওয়ার জন্য চিদাম্বরমকে নোটিস দেয় সিবিআই।
বুধবার সকালে একবার চিদাম্বরমের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু বলা হয় তিনি বাড়িতে নেই। সন্ধ্যায় আবারও তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দরজা না খোলায় দেওয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।
২০১৮ সালের ২৫ জুলাই প্রথমবার আইএনএক্স মিডিয়ার দুটি মামলায় আগাম জামিন পেয়েছিলেন চিদাম্বরম। তারপর থেকে কিছুদিন অন্তর এই মেয়াদ বাড়তে থাকে।
তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল মাক্সিস চুক্তি এবং ৩০৫ কোটি টাকার আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ভূমিকা তদন্তকারী সংস্থাগুলোর নজরে ছিল। এ দুটি ঘটনাই ঘটে যখন চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২০১৭ সালের ১৫ মে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। সেখানে বলা হয়েছিল ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা ফান্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যাপারে নিয়ম মানা হয়নি। গত বছর দুর্নীতির মামলা হয়।
তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমও ওই মামলায় অভিযুক্ত। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে দিল্লি হাইকোর্ট কার্তির জামিন মঞ্জুর করেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।