সেবা ডেস্ক: টেলিফোন বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। পৃথিবীকে ছোট করার অবদান টেলিফোনরই। আর বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে আজকের এই মোবাইল ফোন। আর এর পথপ্রদর্শক টেলিফোন। টেলিফোন আবিষ্কারের কথা কম-বেশি সবারই জানা। কিন্তু ফোন তুলেই হ্যালো বলার রহস্য অনেকেরই অজানা।
আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল স্কটল্যান্ডের এডেনবার্গে ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯২২ সালের ২ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। জীবদ্দশায় তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। যা মানব কল্যাণের ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবে। এর মধ্যে টেলিফোন অন্যতম।
গ্রাহাম বেলের মা এবং স্ত্রী দুজনেই ছিলেন বধির। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত ডিভাইস নিয়ে কাজ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন অবিষ্কার করেন।
আজকাল আমরা রিসিভার তুলেই ‘হ্যালো’ বলে সম্বোধন করি অপরপ্রান্তে থাকা বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধুদের সঙ্গে। এই ‘হ্যালো’ শব্দটি কেন বলি বা এর উৎপত্তি কোথায় বা কখন থেকে কীভাবে হ্যালো বলা শুরু তা হয়তো আমরা অনেকেরই জানা নেই।
‘হ্যালো’ একটি মেয়ের নাম, পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো। তিনি ছিলেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের গার্লফ্রেন্ড। টেলিফোন আবিষ্কার করে গ্রাহাম বেল টেলিফোনে প্রথম যে কথাটি বলেন, তা হলো ‘হ্যালো’। সেই থেকেই হ্যালো শব্দটি বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ব্যবহারকারীদের কাছে একটি প্রিয় শব্দ।
মানুষ গ্রাহাম বেলকে ভুলে গেলেও কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলেনি। টেলিফোন নামক যন্ত্রটি যতদিন থাকবে ততদিন মার্গারেট হ্যালো বেঁচে থাকবেন মানুষের মুখে মুখে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।